আসন্ন ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে অভূতপূর্ব কিছু বিষয় দেখবে ফুটবল বিশ্ব৷ আসরের মূল স্পনসরদের তালিকায় থাকবে চিন এবং ইউরোপের বাইরের আরও কয়েকটি দেশের দাপট৷
অ্যাডিডাসবিহীন জার্মান জাতীয় দল!
৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে জার্মানির জাতীয় দলের স্পনসর জার্মান কোম্পানি অ্যাডিডাস৷১৯৫৪ সালের বিশ্বকাপে জার্মানি যে প্রথম সাফল্যের দেখা পেয়েছিল, তার পিছনেও অ্যাডিডাসের ছিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা৷ গ্রুপ পর্বে যে জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছিল ফেরেঙ্ক পুসকাসের হাঙ্গেরি, তারাই কিনা ফাইনালে হেরে বসেছিল ২-৩ গোলে৷ মাঠের ট্যাকটিকেল দিক তো ছিলই, পাশাপাশি অ্যাডিডাসের সর্বাধুনিক বুটও জার্মানদের যে বাড়তি সুবিধা দিয়েছিল, তা অনস্বীকার্য৷
তারপর থেকে যেখানেই জার্মান দল খেলেছে, স্পনসর হয়ে অ্যাডিডাসও সঙ্গে থেকেছে৷ কিন্তু গত ২২ মার্চ জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ডিএফবি) জানিয়ে দেয় আর অ্যাডিডাস নয়, আগামীতে (২০২৭ সাল থেকে) অন্তত সাত বছরের জন্য ‘ডি মানশাফট'-এর স্পনসর থাকবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাইকি৷ ডিএফবির এই ঘোষণায় সাড়া পড়ে যায় জার্মানিতে৷ প্রতিবাদে মুখর হন অনেকেই৷ জার্মানির খেলোয়াড়দের গায়ে-পায়ে মার্কিন কোম্পানির উপস্থিতি তাঁরা মানতে নারাজ৷
জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী কার্ল লাউটারবাখ এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘আমি মনে করি এটা খুবই খারাপ সিদ্ধান্ত৷' সামাজিক গণতান্ত্রিক দলের এই নেতার মতে, ‘বাণিজ্যের কাছে ঐতিহ্য এবং ঘরোয়া শান্তি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে৷'
জার্মানির অর্থনীতি মন্ত্রী, সবুজ দলের নেতা রবার্ট হাবেক, ‘আমার কাছে অ্যাডিডাস এবং (জার্সির) কালো, লাল আর সোনালি সবসময় এক মনে হয়েছে৷ ওটাই আমার কাছে জার্মানির পরিচয়৷ (স্পনসরশিপে) একটু দেশপ্রেম থাকলে আমার ভালো লাগতে৷'
কিন্তু সাধারণ মানুষ থেকে ছোট-বড় রাজনৈতিক নেতাও অসন্তোষ প্রকাশ করলেও ডিএফবি অটল৷ আসল কারণ টাকা৷ জানা গিয়েছে, স্পনসরশিপ চুক্তির কারণে অ্যাডিডাসের কাছ থেকে যে অর্থ পাওয়া যেতো, নাইকির কাছ থেকে তার দ্বিগুণ পাবে ডিএফবি৷ বছরে নাকি অন্তত ৫০ মিলিয়ন ইউরো, অর্থাৎ ৫৪ মিলিয়ন ডলারের মতো খরচ করবে নাইকি৷
ইউরো ২০২৪-এর স্পন্সরশিপেও ‘নতুনত্ব'
ডিএফবির সেই ঘোষণার এক সপ্তাহ পরেই আসে ইউরো ২০২৪-এর স্পনসর নিয়ে অবাক করা খবর – মূল স্পনসরদের তালিকায় থাকছে না জার্মানির মার্সেডেজ বা ফক্সভাগেন, সেখানে ঢুকে পড়ছে চিনের ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরির কোম্পানি বিওয়াইডি৷
তবে প্রধান পাঁচ স্পনসরের তালিকায় অ্যাডিডাস রয়েছে৷ তারা শুধু ম্যাচ বল আর স্বেচ্ছাসেবী এবং কর্মীদের সরঞ্জাম সরবরাহ করবে৷ এছাড়া ডিজিটাল প্রতিষ্ঠান অ্যাটস দেখবে আসরের প্রযুক্তির দিকটা৷ মূল পাঁচ স্পনসরের তালিকায় রয়েছে কোকাকোলা এবং জার্মানির জাতীয় রেলযোগাযোগ কর্তৃপক্ষ ডয়চে বান৷
(বিশেষ দ্রষ্টব্য : প্রতিবেদনটি ডয়চে ভেলে থেকে নেওয়া হয়েছে। সেই প্রতিবেদনই তুলে ধরা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কোনও প্রতিনিধি এই প্রতিবেদন লেখেননি।)
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।