আইএসএল ফাইনালে বেঙ্গালুরু এফসি। দ্বিতীয় লেগের সেমিফাইনালে এফসি গোয়া ২-১ গোলে জিতলেও বেঙ্গালুরু অ্যাগ্রিগেটের বিচারে ফাইনালে চলে গেল। সুনীল ছেত্রীর শেষ মূহূর্তের গোলে ফাইনালে চলে গেল বেঙ্গালুরু। একটা সময় মনে হচ্ছিল এফসি গোয়াই হয়ত ফাইনালে যাবে। কারণ ২ গোলে পিছিয়ে থেকে শুরু করেও ২ গোল করে ফেলেছিল গোয়া। ফলে অ্যাগ্রিগেটে ২-২ হয়ে গেছিল, কিন্তু সংযুক্তি সময় সুনীল ছেত্রীর অনবদ্য হেডারেই ফাইনালের টিকিট হাতে পেল বেঙ্গালুরু।
গোয়ার ফাতোর্দা স্টেডিয়ামে পিছিয়ে থেকেই এদিন আইএসএলের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল এফসি গোয়া। আইএসএলের লিগ শিল্ড জয়ের দৌড়ে প্রথম দুইতে শেষ করলেও গত ম্যাচে কান্তিরাভায় ২-০ গোলে হেরে গেছিল গোয়া, ফলে এই ম্যাচে তাঁদের ২ গোলে জিততেই হত। কিন্তু প্রথমার্ধে আক্রমণ অনেক করলেও গোলের দেখা তাঁরা পাননি।
CSK-র হয়ে বোলিং করছেন নীরজ চোপড়া? ভাইরাল ছবি নিয়ে তুুমুল হাসাহাসি নেটপাড়ার
পরিসংখ্যান বলছিল প্রথমার্ধের শেষে বল পজিশন ৬২ শতাংশ ছিল এফসি গোয়ার দখলে। তাঁদের দল মোট ৮টি শট নিয়েছিল,এর মধ্যে তিনটি ছিল গোলে। তবে গুরপ্রিত সিং সান্ধু তা সেভ করে নেন। বেঙ্গালুরুর গোলরক্ষককে কদিন আগেই জাতীয় দল থেকে বাদ দিয়েছিলেন ম্যানোলো মার্কুয়েজ, তাই তাঁর বিরুদ্ধে নিজেকে প্রমাণের সুযোগ ছিল সান্ধুর কাছে, সেই লক্ষ্যেই তিনি লড়ে যান।
প্রথমার্ধে অবশ্য বেঙ্গালুরুর ফুটবল তেমন দৃষ্টিনন্দন ছিল না, বরং একটু বেশিই বডি কন্ট্যাক্ট করছিল ফুটবলাররা। একাধিকবার গোয়ার স্ট্রাইকার ইকার গুয়ারেক্সটনাকে তাঁরা বক্সে ফেলে দিলেন, যদিও তাতে রেফারি কোনও কার্ডও দেননি, আবার পেনাল্টিও দেননি।
তবে প্রথমার্ধে বেঙ্গালুরুর রক্ষণে বুক চিতিয়ে লড়ে গেলেন চিংলেনসানা সিং। মনে হচ্ছিল তিনি একাই যেন গোয়ার আক্রমণকে সব ঠেকিয়ে দেবেন। প্রথমার্ধ পর্যন্ত তাঁর দুর্ধর্ষ লড়াইয়ের সুবাদেই গোয়া আটকে গেছিল, কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য ডেডলক ভাঙল বোর্হার তৎপরতায়।
৪৯ মিনিটে বক্সের বাইরে ফাউল হওয়ায় একটি ফ্রি কিক পায় এফসি গোয়া, আর সেখান থেকেই একেবারে স্পট অন গোল। দুরন্ত ফ্রি কিকে গোল করে অ্যাগ্রিগেটের বিচারে ব্যবধান কমান বোর্হা। এই ম্যাচে ১ গোলে এগিয়ে যায় ম্যানোলো মার্কুয়েজের দল, তাতেই যেন ছন্দ ফিরে পায় তাঁরা। এরপর পরপর ফতোর্দায় আক্রমণ করতে থাকে বোর্হা, ইকার, আয়ুষ ছেত্রী, দ্রাজিচরা।
ম্যাচের শেষ লগ্নে পরিবর্ত হিসেবে নামা ফুটবলার আর্মান্দো সাদিকু হেড করে গোয়ার হয়ে স্কোরলাইন ২-০ করে দেন। তাতেই অ্যাগ্রিগেটের বিচারে ২-২ হয়ে গেছিল। কিন্তু এরপরেও বাকি ছিল ক্লাইম্যাক্স। শেষ লগ্নে নাদোং ভুটিয়ার পাস থেকে সুনীল ছেত্রীর অনবদ্য হেডার থেকে গোল পেয়ে যায় বেঙ্গালুরু এফসি, তাতেই অ্যাগ্রিগেটের বিচারে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে থাকার সুবাদে ফাইনালে গেল বেঙ্গালুরু। ফলে ২-১ ফলে ম্যাচ হারলেও বেঙ্গালুরু ফাইনালে পৌঁছাল। কেন বুড়ো সুনীলকে জাতীয় দলে ম্যানোলো ফিরিয়েছিলেন, সেটাই যেন ছেত্রী আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন। ম্যাচের সেরাও নির্বাচিত হলেন ছেত্রী।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।