WB 6th Pay Commission Report legal fight: বেতন কমিশনের রিপোর্ট নিয়ো 'লুকোচুরি' জারি, আইনি গ্যাঁড়াকলে পড়বে মমতার সরকার?

Updated: 25 Oct 2024, 11:00 AM IST Abhijit Chowdhury 6th pay commission, dearness allowance, da hike, da arrear, government employee, salary of central government employees, wb state government employees, ষষ্ঠ বেতন কমিশন, মহার্ঘ ভাতা, বকেয়া ডিএ, রাজ্য সরকারি কর্মী Abhijit Chowdhury 25 Oct 2024

কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে বহুদিন ধরে আন্দোলন চলেছে রাজ্যে। এদিকে পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় বকেয়া ডিএ-র মামলা ঝুলে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এই সবের মাঝেই রাজ্যে কার্যকর হওয়া ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ রিপোর্ট নিয়ে লুকোচুরি জারি রেখেছে সরকার।

1/7পশ্চিমবঙ্গের ষষ্ঠ বেতন মিশনের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট হাতে পাওয়ার জন্যে বিগত বেশ কয়েক দিন ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইউনিটি ফোরাম। দুর্গাপুজোর পর অফিস খুলতেই ফের একবার সেই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার চেষ্টা শুরু করেছে ইউনিটি ফোরাম। এমনই দাবি করা হচ্ছে রিপোর্টে। এই আবহে নিজেদের অ্যাডভোকেটের মাধ্যমে ইউনিটি ফোরাম চিঠি দিয়েছে রাজ্য তথ্য কমিশনার, রাজ্য অর্থ দফতরকে।

2/7প্রসঙ্গত, রাজ্যে রোপা আইন চালু হয়েছিল ২০১৯ সালে। এই আবহে সরকারি কর্মীদের অভিযোগ, সরকারি মেমোতে 'ষষ্ঠ বেতন কমিশনে'র উল্লেখ রয়েছে। এই আবহে সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন ইউনিটি ফোরামের আহ্বায়ক দেবপ্রসাদ হালদার আরটিআই করে ষষ্ঠ পে কমিশনের সেই সুপারিশ বা রিপোর্টের কপি দেখতে চেয়েছিলেন। তবে বারবার আপিলেও সেই নথি দেখতে পায়নি ইউনিটি ফোরাম।

3/7এই আবহে গত ২০২৩ সালের ৫ এপ্রিল কলকাতা হাই কোর্টে একটি মামলা করেন ইউনিটি ফোরামের আহ্বায়ক দেবপ্রসাদ হালদার। দেবপ্রসাদবাবুর হয়ে মামলাটি করেন আইনজীবী প্রবীর চট্টোপাধ্যায়। সেই প্রবীর চট্টোপাধ্যায়ের মাধ্যমেই এবার রাজ্য তথ্য কমিশনার, রাজ্য অর্থ দফতরকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে ২০২২ সালের আরটিআই করেও রাজ্য সরকারের থেকে রিপোর্ট দেখতে চাওয়া হয়েছিল। তবে তা দেখানো হয়নি তখনও।

4/7এই আবহে চিঠি দিয়ে সরকারের থেকে তিনদিনের মধ্যে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশের ফার্স্ট ও সেকেন্ড পার্ট দেখতে চেয়েছিলেন ইউনিটি ফোরামের আহ্বায়ক। সেই চিঠি পাঠনো হয়েছিল গত ২১ অক্টোবর। এই আবহে ২৪ অক্টোবরের মধ্যে সেই পে কমিশনের রিপোর্ট দেখাতে বলা হয়েছিল। নয়ত পরবর্তী আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দেখা হয়েছিল।

5/7বর্তমানে ১৪ শতাংশ ডিএ পাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। এদিকে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ বেড়ে ৫৩ শতাংশ হয়েছে। এই আবহে কেন্দ্রীয় কর্মীদের সঙ্গে রাজ্যের কর্মচারীদের ডিএ-র ফারাক বেড়েছে আরও। এই আবহে ডিএ আন্দোলনকারীদের দাবি, প্রাপ্য আরও ৩৯ শতাংশ ডিএ দিতে হবে রাজ্যকে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

6/7প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারিতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি বাজেটে ৩ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা কর হয়েছিল। তবে বাংলার আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের বক্তব্য, এর আগে সরকার এইচআর-এর টাকা ১৫ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশ কমিয়ে ১২ করেছে। সেটাই ডিএ বলে চালাচ্ছিল সরকার। ওটা আসলে ডিএ নয়। সরকারি কর্মীদের অভিযোগ, তাঁরা কোনও ডিএ পাচ্ছিলেন না। আর গত বাজেটে সেই চিরকুটে ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করে সরকার। এরপর থেকে অবশ্য আরও ৮ শতাংশ হারে ডিএ বাড়ানো হয়েছে রাজ্যে।

7/7উল্লেখ্য, রাজ্যে প্রথম পে কমিটি গঠিত হয়েছিল ১৯৬০ সালে। এরপর আসে প্রথম পে কমিশন। যা শুরু হয় ১৯৭০ সালে। দ্বিতীয় পে-কমিশন বসে ১৯৮১ সালে। তৃতীয় পে কমিশন ১৯৯০ সালে, চতুর্থ পে কমিশন ১৯৯৪ সালে এবং পঞ্চম পে কমিশন বসে ২০০৯ সালে। ২০১৬ সালে ষষ্ঠ পে কমিশন বহাল হওয়ার কথা থাকলেও রাজ্যে রোপা আইন চালু হয়।

পরবর্তী ফটো গ্যালারি

WB 6th Pay Commission Report legal fight: বেতন কমিশনের রিপোর্ট নিয়ো 'লুকোচুরি' জারি, আইনি গ্যাঁড়াকলে পড়বে মমতার সরকার?

Latest News

Latest pictures News in Bangla

IPL 2025 News in Bangla

Trending Topics

Sections

বাংলার মুখ

ময়দান

ক্রিকেট

ভাগ্যলিপি