বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Saradha Chit Fund Case: সারদাকাণ্ডে ৬ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত; চাপে চিদম্বরমের স্ত্রী, ইস্টবেঙ্গল কর্তা
পরবর্তী খবর
Saradha Chit Fund Case: সারদাকাণ্ডে ৬ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত; চাপে চিদম্বরমের স্ত্রী, ইস্টবেঙ্গল কর্তা
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 03 Feb 2023, 10:57 PM ISTAyan Das
Saradha Chit Fund Case: সারদা চিটফান্ড মামলায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের স্ত্রী নলিনী, সিপিআইএমের প্রাক্তন বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকারের (নীতু) সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
দেবব্রত সরকার এবং নলিনী চিদম্বরম। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে ফেসবুক এবং টুইটার)
সারদা চিটফান্ড মামলায় ছ'কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের স্ত্রী নলিনী, সিপিআইএমের প্রাক্তন বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকারের (নীতু) সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যাঁরা সারদার থেকে সুবিধা পেয়েছিলেন বলে দাবি করেছে ইডি।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডির তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আর্থিক তছরুপ বিরোধী আইনের (Prevention of Money Laundering Act - PMLA) আওতায় জারি করা আদেশনামার ভিত্তিতে ৩.৩ কোটি টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পত্তি এবং তিন কোটি টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। আদতে ওই সম্পত্তি সারদা গ্রুপ এবং সারদা গ্রুপের থেকে সুবিধা পাওয়া ব্যক্তিদের নামে ছিল বলে কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে।
কাদের কাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে? ইডির তরফে জানানো হয়েছে, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর স্ত্রী, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্তা দেবব্রত, প্রাক্তন সিপিআইএম বিধায়ক তথা প্রাক্তন আইপিএস অফিসার দেবেন্দ্রনাথ এবং অসমের প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা প্রয়াত অঞ্জন দত্তের 'মালিকানায়' থাকা অনুভূতি প্রিন্ট অ্যান্ড পাবলিকেশনের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
ইডি আগেই দাবি করেছিল, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর স্ত্রী নলিনীকে আইনি ফি হিসেবে ১.২৬ কোটি টাকা দিয়েছিল সারদা গ্রুপ (একটি টিভি কেনার চুক্তি সংক্রান্ত বিষয়ে আদালত এবং কোম্পানি ল বোর্ডের আইনি ফি হিসেবে)। সারদা কেলেঙ্কারিতে ইতিমধ্যে জেল খেটেছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তা। অঞ্জন আবার অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কংগ্রেস সরকারে একাধিক দফতরের দায়িত্ব সামলেছিলেন। অসমের পরিবহণমন্ত্রীও ছিলেন। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিল। ২০১৬ সালে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত সেই পদে ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং অসমে সারদার রমরমা চলেছিল। বিনিয়োগকারীদের অস্বাভাবিক হারে টাকা রিটার্নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজার থেকে টাকা তুলেছিল। কিন্তু বাস্তবে সেটা ঘটেনি। তার জেরে কার্যত নিঃস্ব হয়ে যান প্রচুর মানুষ। ২০১৩ সালেই সেই ঘটনায় আর্থিক তছরুপ বিরোধী আইনে মামলা রুজু করেছিল ইডি।