মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নারকীয় ঘটনা। নিজের ১৩ বছর বয়সি মেয়েকে ধর্ষণের পর নৃসংসভাবে হত্যা করল বাবা। অভিযোগ, নাবালিকার হাত ও গলা কেটে খুন করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্ত বাবার বিরুদ্ধে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ থাকার পর নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়েছে একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে। এই অভিযোগে নাবালিকার বাবাকে প্রথমে গুলি চালায় পুলিশ ও পরে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন: নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় আত্মঘাতী প্রৌঢ়, ‘ফাঁসানো হয়েছে’ দাবি পরিবারের
সংবাদ মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, নাবালিকা ওহাইওর বাসিন্দা। ১৪ তম জন্মদিনের কয়েকদিন আগেই সে বাড়ি থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায়। মেয়েকে খুঁজে পেতে অভিযুক্ত বাবা একটি টিভি চ্যানেলে প্রচার চালিয়েছিলেন। তার একদিন পরেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আরও অভিযোগ, মেয়েকে খুন করার পর প্রমাণ লোপাট করতে ওই পরিত্যক্ত বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় অভিযুক্ত।
তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করতে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে গিয়ে মেয়ের সঙ্গে শেষ দেখা করা নিয়ে অভিযুক্ত মিথ্যে তথ্য দেয় বলে অভিযোগ। সংবাদমাধ্যমে সে দাবি করে, মেয়েটি তার ঠাকুমার সঙ্গে থাকত। তবে ১৬ মার্চ ঘটনার রাতে সে একাই বাড়িতে ছিল। সেই রাতে মেয়ে খুব ভয় পাচ্ছিল বলে দাবি করে অভিযুক্ত। ধৃত বাবা আরও জানায়, মেয়ে তাকে ফোন করে নাকি বলেছিল যে কেউ ঘরে ঢোকার চেষ্টা করছে। তবে তার বক্তব্যে অসঙ্গতি খুঁজে পাওয়ায় সন্দেহ হয় পুলিশের।
মেয়েটির মায়ের দাবি, ১৫ মার্চ অর্থাৎ ঘটনার আগের দিন তিনি বাড়িতে এসে মেয়েকে দেখতে পান। নাবালিকার ঠাকুমা দাবি করেন, তিনি ঘরে ফিরে দেখেন সবকিছু এলোমেলো ছিল। সোফার কাছে নাতনির অন্তর্বাস এবং ডাইনিং রুমের মেঝেতে পায়জামা দেখতে পান।
পুলিশ ৩৩ বছর বয়সি ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। শেষে কলম্বাসে তাকে গ্রেফতার করে। তবে গ্রেফতারের সময় তার কাছে একটি বন্দুক ছিল। ফলে পুলিশ অভিযুক্তকে নিরস্ত্র করতে গুলি চালায়। কলম্বাস পুলিশ বিভাগের লেফটেন্যান্ট ব্রায়ান স্টিল জানিয়েছেন, নাবালিকাকে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সেটা প্রমাণিত হয়েছে। তার হাত ও গলা প্রায় সম্পূর্ণ কেটে ফেলা হয়েছে। পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, তাঁর কর্মজীবনে এই ঘটনাটি সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ঘটনাগুলির একটি। ঘটনার নিষ্ঠুরতা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ আমাদের শহরে একটি পশু বাস করছিল।’