ওয়াকফ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে শাসকদল ন্যাশনাল কনফারেন্স বিধায়কদের বিক্ষোভে উত্তাল জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা। সোমবার এনসি, কংগ্রেস, নির্দল বিধায়করা ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন নিয়ে আলোচনার দাবি জানালে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। বিতর্কের জন্য প্রশ্নোত্তর স্থগিত করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে স্পিকার আব্দুল রহিম রাথের ১৫ মিনিটের জন্য অধিববেশন মুলতবি করে দেন। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দু মহিলার দেহ টুকরো-টুকরো করে কার্টনে ভরে ফেলে আসা হল রাস্তার পাশে)
এদিন জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভার মধ্যে এনসি বিধায়ক হিলাল লোন এবং সালমান সাগর ওয়াকফ আইনের কপি ছিঁড়ে ফেলার পর সংসদে বিক্ষোভ আরও তীব্র হয়ে ওঠে। এরপর বিধায়ক আব্দুল মাজিদ লারমি প্রতিবাদে তার জ্যাকেট মেঝেতে ছুঁড়ে ফেলে দেন। নাজির গুরেজি এবং তানভীর সাদিকের নেতৃত্বে ন্যাশনাল কনফারেন্সের সদস্যরা প্রশ্নোত্তর পর্ব স্থগিত করার জন্য একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এনসি, কংগ্রেসের নয় জন সদস্য এবং কিছু স্বতন্ত্র সদস্য আলোচনার জন্য স্পিকারকে নোটিশ দিয়েছিলেন।ওয়াকফ (সংশোধনী) আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব সম্পর্কে, এনসি বিধায়ক তানভীর সাদিক বলেন, 'এই বিষয়টি উত্থাপন করা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। জম্মু ও কাশ্মীর একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য, এবং এই জাতীয় বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা বিধায়কদের দায়িত্ব। আমরা একটি স্থগিতাদেশ প্রস্তাব পেশ করেছি, যাতে ১০-১১ জন বিধায়ক স্বাক্ষর করেছেন। আমি একটি প্রস্তাবও জমা দিয়েছি এবং আশা করি স্পিকার আমাদের এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক করার জন্য সময় দেবেন।' (আরও পড়ুন: বঙ্গোপাসাগরে তৈরি হবে পারমাণবিক সাবমেরিন বেস,গার্ডিয়ান বাংলাদেশকে বার্তা ভারতের?)
অন্যদিকে, ওমরের নেতৃত্বাধীন সরকার ওয়াকফ বিল নিয়ে এনডিএ সরকারকে সহায়তা করছে বলে অভিযোগ করেছে পিডিপি। পিডিপি নেতা ওয়াহিদ পারা জম্মু ও কাশ্মীর সরকারকে ওয়াকফ বিলের বিষয়ে এনডিএ সরকারকে সহায়তা করার অভিযোগ এনেছেন এবং এটিকে রাজ্যের ম্যান্ডেটের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা বলে অভিহিত করেছেন। ওয়াহিদ পারা বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি এটি জনাদেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। জম্মু ও কাশ্মীর একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য, এবং যদি বিধানসভা এবং রাজ্য ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে কোনও প্রস্তাব পাশ করতে ব্যর্থ হয়, তবে এটি প্রতিটি মুসলিমের ক্ষোভের প্রতিফলন ঘটায়। তামিলনাড়ু প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছে, এবং জম্মু ও কাশ্মীরেরই প্রথম স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এটি আনা উচিত ছিল। তিনি আরও বলেন, 'ন্যাশনাল কনফারেন্স আজ প্রস্তাবটি এনেছে, কিন্তু স্পিকার এটিকে বিচারাধীন বলে উল্লেখ করে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবুও ৩৭০ ধারা এবং সিএএ-এর মতো বিষয়গুলি বিচারাধীন থাকা অবস্থায়ও প্রস্তাব আনা হয়েছিল। এই সরকার বিজেপিকে তুষ্ট করছে, রাজনীতি করছে এবং তাদের কর্মকাণ্ডকে স্বাভাবিক করছে।' (আরও পড়ুন: রাখাইনে বৌদ্ধদের খুন করল রোহিঙ্গা জঙ্গিরা, জবাব আরাকান আর্মির, পা উড়ল বাংলদেশির)
আরও পড়ুন: সত্যি হল জল্পনা, অভ্যুত্থান কানাঘুষোর মাঝে '১২টা বাজল' বাংলাদেশি সেনা কর্তার
বাজেট অধিবেশন চলাকালীন প্রথমবারের মতো জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভার অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করা হয়। কার্যবিবরণী পুনরায় শুরু হওয়ার পরেও হট্টগোল অব্যাহত থাকে, সদস্যরা এখনও সোচ্চার হয়ে প্রতিবাদ করে।