রাধারমন দাস বলেন,'সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ইসকনের বেশ কিছু সম্পত্তি আক্রমণের মুখে পড়েছে, হিন্দুদের নিরাপত্তা ও নিরাপত্তার উদ্বেগ মোকাবেলায় কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। দেশের পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশে ইসকন দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে।'
বাংলাদেশের ইসকনের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন রাধারমন দাস। (প্রতীকী ছবি,Photo by Samir Jana/ Hindustan Times)
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে হিন্দুদের ওপর হামলা ঘিরে একের পর এক ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। তারই মাঝে মুখ খুলেছেন ইসকনের কলকাতা শাখর মুখপাত্র রাধারমন দাস। তিনি জানাচ্ছেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জেরে সেদেশে ইসকনের পিঠ ঠেকে গিয়েছে দেওয়ালে।
সম্প্রতি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাধারমন দাস উদ্বেগ প্রকাশ করেন, বাংলাদেশে ইসকনের পরিস্থিতি নিয়ে। তিনি বাংলাদেশের বহু নেতার মন্তব্য নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার এখনও কমেনি বলে দাবি করেছেন রাধারমন দাস। এছাড়াও এক বিএনপি নেতার মন্তব্য নিয়েও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এই ধরনের মন্তব্য স্বাভাবিক পরিস্থিতি আনবে না। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার তার নিজের দায়িত্ব পালন করবে। কলকাতা ইসকনের মুখপাত্র রাধারমন দাস বলেন,'সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ইসকনের বেশ কিছু সম্পত্তি আক্রমণের মুখে পড়েছে, হিন্দুদের নিরাপত্তা ও নিরাপত্তার উদ্বেগ মোকাবেলায় কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। দেশের পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশে ইসকন দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে।'
এদিকে, বাংলাদেশে এক বিএনপি নেতার মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। তিনি এক মন্তব্যে বাংলাদেশের যুবকদের ভারতের বিরুদ্ধে সংঘাতে এগিয়ে চলার আহ্বান জানান। সেই মন্তব্য নিয়ে রাধারামন দাস বলেন,' এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য পরিস্থিতির উন্নতিতে সাহায্য করবে না, বাংলাদেশে অগ্নিসংযোগকারী ও মৌলবাদীদের সাহায্য করবে।' উল্লেখ্য, সদ্য বিএনপি নেতা রুহুল রিজভি বাংলা, বিহার, ওড়িশা দখলের ডাক দেন। তিনি এই নিয়ে সরব হন। এই ইস্যুতে ইসকনের ওই সন্ন্যাসী বলেন,' আমরা আশা করি অন্তর্বর্তী সরকার তার শাসকের ভূমিকা পালন করবে এবং সংখ্যালঘুসহ বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। আমরা আশা করি হিন্দু নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস অবিলম্বে মুক্তি পাবেন এবং ন্যায্য বিচার পাবেন।' এদিকে, এই পরিস্থিতির মাঝে সদ্য জানা গিয়েছে বাংলাদেশের সরিষাবাড়িতে এক কালীমন্দিরে হামলা হয়। সেখানে ৭ টি মূর্তি ভাঙচুর হয়েছে বলে রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে।