ইন্ডিয়া জোটের ক্ষেত্রে আসন সমঝোতা কেমন হবে তার ফর্মুলা তিনি আগে দিয়েছিলেন। যে রাজ্যে জোটের যে দল শক্তিশালী, আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে তার বক্তব্যই আগে শুনতে হবে। তাকে প্রাধান্য দিতে হবে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনায়।
জোটের বৈঠকেও সেই ফর্মুলাই দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধায়। মঙ্গলবার বৈঠকে তিন রাজ্যের ভোটে কংগ্রেস খারাপ ফল নিয়ে কাটাছেঁড়ার সময় কার্যত চুপ করেছিলেন মমতা। পরে সোনিয়া গান্ধীর অনুরোধেই তিনি বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, 'সমালোচনা, আত্মসমালোচনা সবই হয়েছে। আমাদের কাজ এখন দেশ বাঁচানো। তার জন্য আগে আসন সমঝোতার কাজ সেরে ফেলতে হবে।' আসন সমঝোতার ফর্মুলা দ্রুত বার উপরেই তিনি জোর দেন। গোটা প্রক্রিয়াটি যাতে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যাতে শেষ করা হয় তার জন্য বৈঠকে আবদেন করেন।
(পড়ুন। আমি ২০ বছর ধরে অপমানিত হচ্ছি’! ধনখড়কে বললেন মোদী, ‘হতাশাজনক’, বললেন রাষ্ট্রপতি)
এদিন তিনি রাহুল গান্ধীকে বলেনে, কংগ্রেস যদি পঞ্জাব হরিয়াণায় কথা বলতে যায়, তবে তারা যেন আপের সঙ্গে কথা বলে। আবার যদি উত্তরপ্রদেশ কথা বলে, তবে তারা যেন অখিলেশ যাদবের সঙ্গে কথা বলে।
রাজ্যে কংগ্রেসকে ২টি আসন ছাড়বে তৃণমূল
পশ্চিমবঙ্গের প্রশ্নে তাঁর প্রস্তাব, রাজ্যে তৃণমূল হাতকে দুটি আসন ছাড়তে রাজি তারা। কারণ আগের লোকসভা নির্বাচনে দুটি আসন জেতে কংগ্রেসে। তবে সেক্ষেত্রে অসম এবং মেঘালয়ে তৃণমূলকে একটি করে আসন ছাড়তে হবে।
তিনি সুনির্দিষ্ট ভাবে বলেন, কংগ্রেস মোট ৩০০ আসনে লড়াই করুক। বাকি ২৪৩টি আসন ছেড়ে দেওয়া হোক জোটের বাকি দলকে।
বঙ্গ কংগ্রেসকে দিল্লিতে তলব
জোটের ক্ষেত্রে মমতার দেওয়া ফর্মুলা মেনে নেবে প্রদেশ কংগ্রেস? অসম বা মেঘালয়ের ক্ষেত্রে কী হবে? বুধবার প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বকে দিল্লিতে তলব করেছে এআইসিসি। সেখানে বঙ্গ কংগ্রেস নেতাদের মত জানতে চাওয়া হবে। তবে সূত্রের খবর বাংলায় ৬ আসন চাইতে পারে কংগ্রেস।