বস্তারের জঙ্গলে কার্যত সার্জিকাল স্ট্রাইক। মাওবাদী ডেরায় ঢুকে তাদের নিকেশ করল সুরক্ষা বাহিনী। অন্তত ৩০-৪০ জনের একটি গ্রুপ ছিল। দুপুরের খাবারের পর তারা কিছুটা আয়েসি মেজাজে ছিলেন। সেই সময় তাদের ঘিরে ফেলে বাহিনী। প্রায় চার ঘণ্টার গুলির লড়াই চলে। একেবারে ভয়াবহ এনকাউন্টার। মাওবাদী ডেরায় ঢুকে অভিযান।
পুলিশের কাছে খবর ছিল মাও নেতা শঙ্কর রাও এবং ললিতা স্থানীয় এলাকায় মিটিং করতে এসেছেন। এরপরই শুরু হয় অভিযানের প্রস্তুতি। সেই মতো কাজ শুরু হয়।
নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ২৯ জন মাওবাদী নিহত হওয়ার একদিন পর বুধবার পুলিশ তাদের মধ্যে দু'জনকে চিহ্নিত করেছে, তারা দুজনেই সিপিআই (মাওবাদী) এর উত্তর বস্তার বিভাগের বিভাগীয় কমিটির সদস্য। অন্যান্য মাওবাদীদের চিহ্নিত করা এবং এনকাউন্টারস্থলে তল্লাশি অভিযান এখনও চলছে।
শঙ্কর রাও ও ললিতা মেরাভি নামে দুই মাওবাদীর মাথার উপর ৮ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
এক পদস্থ পুলিশ আধিকারিক বলেন, "বাকি মাওবাদীরা সিপিআই (মাওবাদী)-র পার্তাপুর এরিয়া কমিটি এবং পিপলস লিবারেশন অফ গেরিলা আর্মির (পিএলজিএ) হতে পারে।
পুলিশের ইনস্পেক্টর জেনারেল (বস্তার রেঞ্জ) সুন্দররাজ পি জানিয়েছেন, কাঙ্কের, নারায়ণপুর (ছত্তিশগড়) এবং গড়চিরোলি (সংলগ্ন মহারাষ্ট্র) ত্রি-সংযোগস্থলে এই এনকাউন্টার পর্বতমালার উত্তর বস্তার ডিভিশনে বড় ধাক্কা খেয়েছে।
এই বিভাগটি বেআইনি শুল্ক আদায় এবং এই অঞ্চলে মাওবাদীদের নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ার জন্য পরিচিত। এনকাউন্টারের পরে তারা এই বিভাগে একটি বড় ধাক্কা খেয়েছে, আইজি বলেন, বন্দুকযুদ্ধের আগে এই বিভাগে মাওবাদীদের প্রায় ১১০ জন সশস্ত্র ক্যাডার ছিল।
ঘটনাস্থল থেকে একটি একে-৪৭, দুটি ইনসাস রাইফেল, দুটি সেলফ লোডিং রাইফেল, একটি কারবাইন ও অন্যান্য অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। প্রায় ৫০ জন মাওবাদীর উপস্থিতির খবর পাওয়া গিয়েছে।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে হিংসাত্মক কার্যকলাপ চালানোর ছক কষেছিল মাওবাদীরা। আমরা বিধানসভা নির্বাচনের সময় যথাযথ ব্যবস্থা করেছিলাম, তাই তারা কোনও বড় ঘটনা ঘটাতে পারেনি।
মঙ্গলবারের এনকাউন্টারসহ এ বছর কাঙ্কের-সহ সাতটি জেলা নিয়ে গঠিত বস্তার অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে ৭৯ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে।