Disney on Star India: আইপিএলের ডিজিটাল স্ট্রিমিংয়ের স্বত্ব হারিয়েছে ডিজনি। মুকেশ আম্বানিদের ভায়োকম১৮ সেই স্বত্ব পাওয়ার পরই ধাক্কা খেয়েছে ডিজনি। সেই পরিস্থিতিতে স্টার ইন্ডিয়াকে নিয়ে নয়া পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
জিয়োর উত্থানের পর থেকেই ভারতীয় বাজারে রক্তচাপ বেড়ে গিয়েছে। যে খুঁটির (আইপিএল) উপর ভিত্তি করে এতদিন ভারতীয় বাজারে দাপট দেখিয়েছে স্টার ইন্ডিয়া, সেটাই এখন দুর্বল হয়ে গিয়েছে। আইপিএলের ডিজিটাল সম্প্রচার স্বত্ব জিয়োর হাতে যাওয়ায় স্রেফ তিন মাসেই হটস্টার ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮০ লাখ থেকে এক কোটি কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে অ্যামাজন প্রাইমের সঙ্গে লড়াইয়ের মধ্যেই জিয়ো পুরোদমে সিনেমা প্ল্যাটফর্ম নিয়ে আসায় নিঃসন্দেহে কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে হটস্টার। সেই পরিস্থিতিতে ভারতে নিজেদের ব্যবসা বাড়াতে মরিয়া হয়ে উঠেছে স্টার ইন্ডিয়া। দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিষয়টির সঙ্গে অবহিত ব্যক্তিরা জানিয়েছেন যে ভারতে ব্যবসাকে চাঙ্গা করতে কমপক্ষে একটি ব্যাঙ্কের আলোচনা চালাচ্ছে স্টার ইন্ডিয়া, যাতে কিছুটা খরচ কমানো যায়। যৌথভাবে ব্যবসা চালানো বা একাংশ বেচে দেওয়ার বিষয়েও ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে বলে ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
অথচ ২০১৯ সালে যখন টোয়েন্টি-ফার্স্ট সেঞ্চুরি ফক্সের থেকে বিভিন্ন বিনোদনমূলক সম্পত্তি নিয়েছিল, তখন ৭১.৩ বিলিয়ন ডলার দিয়েছিল ডিজনি। সেইসময় স্টার ইন্ডিয়াকে অনেকেই ফক্সের 'কোহিনুর' হিসেবে বিবেচনা করা হত। যা বিশ্বব্যাপী স্ট্রিমিং ব্যবসা বাড়ানোর জন্য ডিজনির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ফক্সের সঙ্গে চুক্তির ফলে আইপিএলের ম্যাচের সম্প্রচার শুরু করে ডিজনি। হাতে আসে বিভিন্ন ভাষার একাধিক টেলিভিশন চ্যানেল। সেইসঙ্গে বলিউড সিনেমার একটি প্রয়োজনা সংস্থার একাংশও ডিজনির হাতে আসে।
সেই পরিস্থিতিতে ডিজনির স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম হটস্টারের জনপ্রিয়তাও বৃদ্ধি পায়। দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেইসময় বিনামূল্যে হটস্টারের বিভিন্ন পরিষেবা মিলত। মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৫০ মিলিয়ন ছিল। ওই ব্যবহারকারীর বড় অংশ আসত আইপিএল এবং ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের আয়োজিত ম্যাচ সম্প্রচারের কারণে। মূলত আইপিএলের জনপ্রিয়তার কারণে হটস্টারের ব্যবহারকারীর সংখ্যাও বাড়ছিল।