চিকিৎসকের ডিগ্রি হল ‘এমএ’। এমন ডিগ্রি থাকা এক চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। জোর চর্চা শুরু হয়েছে শুরু হয়েছে নেটপাড়ায়। একজন চিকিৎসকের যোগ্যতা কীভাবে এমএ হতে পারে? তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সংবাদের শিরোনামে উঠেছে এসেছে এই প্রেসক্রিপশন (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্থান টাইমস বাংলা)।
আরও পড়ুন: ভুল চিকিৎসায় আঙুল বাদ দিতে হয়েছিল যুবতীর, কলকাতার নাকের ডগায় গ্রেফতার ভুয়ো ডাক্তার
জানা যাচ্ছে, ‘এমআরগ্রুপএজেন্সি’ নামের একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে প্রেসক্রিপশনের এই ছবিটি পোস্ট করা হয়েছে। প্রেসক্রিপশনে উল্লেখিত ঠিকানা অনুযায়ী এটি হল উত্তরপ্রদেশের হরদই শহরের জাহিদপুরে অবস্থিত শ্রীবাস্তব ক্লিনিকে। ওই প্রেসক্রিপশনে দুজন ডাক্তারের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। একজন হলেন ডাঃ দীনেশ শ্রীবাস্তব এবং অন্যজন ডাঃ বরুণ শ্রীবাস্তব। প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী, ডাঃ দীনেশ শ্রীবাস্তবের যোগ্যতা হল বিএএমএস এবং সার্জন। সেটা স্পষ্টভাবেই হল মেডিক্যালের ডিগ্রি। তবে প্রেসক্রিপশনের ডানদিকে থাকা ডাঃ বরুণ শ্রীবাস্তবের যোগ্যতা হল রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ, যা কোনওভাবেই মেডিক্যালের ডিগ্রি নয়। ফলে এভাবে ডাক্তারি প্রেসক্রিপশনে মেডিক্যাল বহির্ভূত কোনও ডিগ্রি উল্লেখ করা যায় না বলেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। এই প্রেসক্রিপশন দেখে হতবাক হয়েছেন নেটিজেনরা। প্রেসক্রিপশনে কোনও রোগীর নাম লেখা নেই। তবে একটি ওষুদের নাম লেখা হয়েছে। ইংরেজি এবং হিন্দিতে লেখা রয়েছে ‘প্যারাসিটামল ক্যাপসুল’।
প্রেসক্রিপশনের ছবি শেয়ার করে ওই আক্যাউন্টে মজার ছলেই লেখা হয়েছে, ‘সায়েন্স তো সায়েন্সই হয়, সেটা মেডিক্যাল হোক বা পলিটিক্যাল।’ ওই অ্যাকাউন্টে এটিকে মিম হিসাবে শেয়ার করা হয়েছে। নেটিজেনরা এনিয়ে মজার মজার প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। একজন বরুণ শ্রীবাস্তবের রাষ্ট্রবিজ্ঞান থেকে চিকিৎসাবিদ্যায় ক্যারিয়ারের আশ্চর্যজনক পরিবর্তন সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন এবং তাঁকে ‘রাজনৈতিক ডাক্তার’ বলে উল্লেখ করেছেন।