১১ জুন বুধবার বিশ্ব জুড়ে স্ট্রবেরি মুন দেখা যাবে। জুন মাসের পূর্ণিমায় পরিলক্ষিত হয় এই বিশেষ রঙের চাঁদ। এই পূর্ণিমা অবশ্য আরেক কারণে গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনকে উত্তর গোলার্ধে বসন্তের শেষ পূর্ণিমা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। যদিও উত্তর গোলার্ধের বেশ কিছু দেশে যেমন ভারতে এই সময় প্রচণ্ড গরম।
ভারতে কবে? কেন বিরল?
বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, এই বছরের ঘটনাটি আরও বিশেষ। কারণ ২০ বছরের মধ্যে এই প্রথম সবচেয়ে কম সময়ের জন্য পূর্ণিমা হবে। ‘প্রধান চন্দ্র স্থবিরতা’ নামে পরিচিত একটি ঘটনার কারণে ২০৪৩ সালের আগে এই সুযোগ আর আসবে না। এই বিরল ঘটনাটি চাঁদকে একটি উষ্ণ, সোনালী আভা দেবে। যা উত্তর গোলার্ধের আকাশ জুড়ে একটি দর্শনীয় দৃশ্য হয়ে উঠবে।
আরও পড়ুন - গরমের ছুটিতে বাচ্চাদের এই ৫ জিনিস শেখান, পড়াশোনায় সাহায্য করবে অনেক
স্ট্রবেরি মুন কী?
স্ট্রবেরি মুন দেখতে স্ট্রবেরির মতো নয়, আবার গোলাপি রঙেরও নয়। ‘স্ট্রবেরি মুন’ নামটির শিকড় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সাথে জড়িত। যার মধ্যে রয়েছে আদি আমেরিকান, ঔপনিবেশিক আমেরিকান এবং ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত ঐতিহ্য। যেমন দ্য ওল্ড ফার্মার্স অ্যালম্যানাক দ্বারা নথিভুক্ত ছিল এই নাম।
আরও পড়ুন - যৌবনে পা দিলেই ঠোঁটে পড়তে হয় এই চাকতি! বিয়েতে বরকে দেখালে মেলে বড় উপহার
ঋতু নির্ধারণ হত এই নামে
ঐতিহাসিকভাবে, ঋতু নির্ধারণের জন্য এই পূর্ণিমার এমন নাম ব্যবহার করা হত। জুন মাসের পূর্ণিমা যা প্রায়শই বসন্তের শেষ বা গ্রীষ্মের প্রথম বলে ধরা হত। ঐতিহ্যগতভাবে তাই পূর্ণিমাটি স্ট্রবেরি মুন নামে পরিচিত।
বেবি রিপেন মুন
তবে অনেকের মতে, এই নামটি উত্তর-পূর্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদি আমেরিকান উপজাতিদের কাছ থেকে এসেছে। এটি ‘জুনে ফলনশীল’ স্ট্রবেরির মরসুমকে চিহ্নিত করে। যা এই সময়ে ফসল কাটার জন্য প্রস্তুত। উপজাতী গোষ্ঠীর অনেকে এটিকে বেরি রিপেন মুন নামেও ডাকেন, কারণ এই সময়টি ফুল ফোটে এবং ফল পাকে।