প্রায় সবারই কোন না কোনও খাবারে অ্যালার্জি থাকে। কিন্তু তারা এই বিষয়ে জানে না এবং তারা নানা ধরণের সমস্যায় ভোগেন। যখন কোনও খাবারে অ্যালার্জি থাকে, তখন অনেক সময় ত্বকের সমস্যা, হজমের সমস্যা বা অস্থিরতা ও নার্ভাসনেসের মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে, ডাক্তারের দ্বারা চেকআপ করানোর আগে এই ৩টি পদ্ধতি অনুসরণ করে নিজেকে পরীক্ষা করুন। এর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কোন খাবার আপনার অ্যালার্জি বা অসহিষ্ণুতার কারণ।
আপনার শরীর পর্যবেক্ষণ করুন
যদি আপনার মনে হয় যে কোনও নির্দিষ্ট খাবার খাওয়ার পরে আপনার স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে, তাহলে প্রথমে আপনার শরীরের উপর নজর রাখুন। শরীরে এই সমস্ত সমস্যাগুলি কখনও কখনও খাদ্য অসহিষ্ণুতার কারণে হয়। যদি আপনি এই সমস্যার সম্মুখীন হন তাহলে আপনার খাবারের দিকে নজর রাখুন।
- ক্রমাগত পেট ফাঁপা, গ্যাস তৈরি, ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য। হজম সংক্রান্ত এই সমস্যাগুলি প্রায়শই কোনও না কোনও খাবারের অ্যালার্জির কারণে ঘটে।
- পেটে ব্যথা বা বমি বমি ভাব
- দুর্বলতা এবং মস্তিষ্কের কুয়াশা
-ত্বক সংক্রান্ত সমস্যা
-জয়েন্টে ব্যথা
- মাথাব্যথা বা মাইগ্রেন
- মেজাজের পরিবর্তন
- ঘুমের মধ্যে গোলমাল
আপনার খাবার সম্পর্কে নোট তৈরি করুন
যদি আপনি কিছু খাওয়ার পরে এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে আপনার খাদ্য জার্নাল তৈরি করা উচিত। এই নোটে আপনাকে খাবারটি সম্পর্কে লিখতে হবে এবং তার পরে আপনার অনুভূতি কী তাও লিখতে হবে।
অসুস্থতার ধরণ লক্ষ্য করুন। একই খাবার ক্রমাগত খাওয়ার পর যদি কিছু লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে বুঝতে হবে এটি একটি খাদ্য অ্যালার্জি।
আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকা থেকে কিছু খাবার বাদ দিন
খাওয়ার পর যদি কিছু লক্ষণ দেখা যায়, তাহলে কিছু খাবার সাময়িকভাবে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন। যেমন দুগ্ধজাত দ্রব্য, গ্লুটেন, সয়া, চিনি, প্রক্রিয়াজাত খাবার। কিছুক্ষণের জন্য এই খাবারগুলি খাওয়া বন্ধ করার পরে আপনার লক্ষণগুলির দিকে মনোযোগ দিন। যদি আপনি কোনও সমস্যা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন তবে আবার খান এবং শরীর কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায় তা পরীক্ষা করুন।
এই ৩টি পদ্ধতি অনুসরণ করে, আপনি ল্যাবে পরীক্ষা না করেই সহজেই আপনার খাবারের অ্যালার্জি পরীক্ষা করতে পারবেন।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি প্রাথমিক ভাবে অন্য ভাষায় প্রকাশিত। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে এটির বাংলা তরজমা করা হয়েছে। HT বাংলার তরফে চেষ্টা করা হয়েছে, বিষয়টির গুরুত্ব অনুযায়ী নির্ভুল ভাবে পরিবেশন করার। এর পরেও ভাষান্তরের ত্রুটি থাকলে, তা ক্ষমার্হ এবং পাঠকের মার্জনা প্রার্থনীয়।