Naboborsho 1432: আগেও হয়েছে নাম বদল, ইউনেসকোর স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশের মঙ্গল শোভাযাত্রা! কীভাবে শুরু

Mangal Shobhajatra: আর কয়েকদিন পরেই বাঙালির সাধের নববর্ষ। এই নববর্ষ ঘিরে উন্মাদনা যে শুধু এপার বাংলায় তা নয়, ওপার বাংলাতেও রয়েছে উৎসব আনন্দের রেশ। গত শতক থেকেই বাংলাদেশে নববর্ষের দিন নানাবিধ আয়োজন করা হয়। এই আয়োজনের মধ্যে অন্যতম হল মঙ্গল শোভাযাত্রা। প্রতি বছর পয়লা বৈশাখের দিন এই শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়ে থাকে। চারুকলা থেকেই প্রথম এই শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল।কালের ফেরে পাল্টে গিয়েছে অনেক কিছু। গত সালের মাঝামাঝি সময় থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তাল। মসনদে রদবদলের পর থেকেই একের পর এক পরিবর্তনের সাক্ষী বাংলাদেশ। ঠিক তেমনই এবার পাল্টে ফেলা হয়েছে। মঙ্গল শোভাযাত্রা নামটি। ইসলামী আন্দোলনসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠনের তরফে এই শোভাযাত্রার নয়া নাম রাখা হয়েছে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে সংবাদ সম্মেলন করে এই নাম জানান ডিন অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম শেখ। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান জানিয়েছেন, আমরা নাম পরিবর্তন করছি না। পুরোনো নাম এবং ঐতিহ্যেই উদযাপিত পালিত হবে এই শোভাযাত্রা।আরও পড়ুন - নাট্যকর্মী পৃথ্বীশ রানাকে বেধড়ক মার! তীব্র নিন্দায় সরব বাংলার নাট্যশিল্পীরাপুরনো ঐতিহ্যের কাছে ফিরতে হলে ফিরতে হয় ১৯৮৯ সালে। ১৩৯৬ বঙ্গাব্দ শুরুর দিন অর্থাৎ পয়লা বৈশাখ থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ শোভাযাত্রার আয়োজন করে আসছে। শুরুতে এর নাম ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ ছিল। পরে সঙ্গীতশিল্পী ওয়াহিদুল হক ও ভাষা সৈনিক এমদাদুল হোসেনের প্রস্তাবে নাম ১৯৯০ সালে মঙ্গল শোভাযাত্রা নাম রাখা হয় এর। তবে এর চার বছর আগে ১৯৮৫ সালে যশোরে প্রথম আয়োজিত হয়েছিল পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা। ওই শোভাযাত্রায় কাঠের পুতুলনাচ, বাঘের প্রতিকৃতি, পুরানো বাদ্যযন্ত্রসহ বিভিন্ন শিল্পকর্ম ছিল। পরে সেই শোভাযাত্রার আদলেই ঢাকার চারুকলা থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়।আরও পড়ুন - ৩ বছর ধরে টানা ঋতুস্রাব! থামছে না কোনও ওষুধেই, বিরল রোগের শিকার এই ক্রিয়েটরপ্রসঙ্গত, ইউনেসকোর স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশের মঙ্গল শোভাযাত্রা। প্রায় তিন দশক ধরে আয়োজিত এই শোভাযাত্রা বর্তমানে বাংলাদেশের সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আনন্দ শোভাযাত্রার নাম বদলে মঙ্গল শোভাযাত্রা নাম রাখার বেশ কিছু কারণ ছিল। তার মধ্যে অন্যতম হল স্বৈরাচারী শাসনের বিপরীতে দাঁড়িয়ে মঙ্গলের আহ্বান জানান। সেই নামই বদলে গেল বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর।