ওই অনুরাগীকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘ওরা যখন এমন করে আমার খুব খারাপ লাগে। আমি ওদের সামনে গিয়ে বলে দিয়েছি, চুপ…।’ নন্দিনী তখন মেয়েটিকে বলেন, ‘ভালো লাগা, খারাপ লাগার ব্যাপার নয়, দেখ ওই দিদিও ব্যবসা করে সংসার চালাচ্ছে তো…।’ ওই মেয়েটি তখন চোখের জল মুছতে মুছতে বলে উত্তরে বলে, ‘তাহলে কেন আরেকজনকে খারাপ করছে!’
নন্দিনীর সঙ্গে দেখা করে চোখে জল অনুরাগীর
নাম তাঁর নন্দিনী। ভালোবেসে লোকে তাঁকে বলেন ‘নন্দিনী দিদি’, আবার সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় 'ভাইরাল নন্দিনী' বলেই পরিচিতি তাঁর। নন্দিনী দিদির সঙ্গে এখন আর নতুন করে পরিচয় করানোর প্রয়োজন নেই। ইউটিউবার, ফুড ভ্লগারদের দৌলতে সাধারণ পাইস হোটেলের মালিক থেকে নন্দিনী এখন হয়ে উঠেছেন সোশ্যাল মিডিয়া স্টার।
এত খ্যাতি, সুনাম সবটাই কিন্তু ছড়িয়েছে ফুড ব্লগারদের হাত ধরে। আধুনিক পোশাক পরে সেজেগুজে ডালহৌসী চত্ত্বরে পাইস হোটেল চালিয়ে সকলের নজর কেড়েছিলেন নন্দিনী। তারপর ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে তাঁর নাম। গতবছর পাইস হোটেলের গণ্ডি পার করে সিনেমার পর্দাতেও পা রেখেছেন 'স্মার্ট দিদি'। ‘তিন সত্যি’ নামে একটি ছবির শ্যুটিং শুরু করেন তিনি। ছবি মুক্তি না পেলেও 'নন্দিনী দিদি' এখন সেলিব্রিটি। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে তাঁর ফ্যান ফলোয়িং-এর সংখ্যাও নেহাত কম নয়! সম্প্রতি একটা 'ফ্যান মিট'ও করে ফেলেছেন নন্দিনী!
উঁহুঁ, যেমনটা ভাবছেন ঠিক তেমনটা অবশ্য নয়। দূর থেকে বেশকিছু অনুরাগী কলকাতায় এসেছিলেন নন্দিনীর সঙ্গে দেখা করতে। আর এঁরা এসেছিলেন চাঁদপাড়া থেকে। বিষয়টা তাহলে একটু খোলসা করেই বলা যাক…