২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকেই অশান্ত বাংলাদেশ। পড়শি দেশে একের পর এক হিংসার ঘটনা সামনে আসছে। এমনকী, বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন পরিস্থতি কপালে ভাঁজ ফেলছে গোটা বিশ্বের। নিজের দেশের পরিস্থিতি, সাধারণ মানুষের দুর্দশা নিয়ে সরব বাংলাদেশি লেখিকা তসলিম নাসরিনও। যদিও নিজের মাতৃভূমি থেকে তিনি বহুদিন আগেই বিতাড়িত। বর্তমানে ভারতের দিল্লির বাসিন্দা। তবে নিজের দেশের প্রতি ভালোবাসা থেকেই যেন পারছেন না চুপ করতে।
তসলিমা সোমবার ফেসবুকে লিখলেন, ‘বাংলাদেশে, আমার মনে হচ্ছে, ১ মিনিটে ১০টি করে ধর্ষণ হচ্ছে, আর ১০ মিনিটে ১টি করে খুন হচ্ছে। আপনার কী মনে হচ্ছে?’ লেখিকার এই পোস্ট নিমেষে ভাইরাল। বাংলাদেশের ঢাকার বাসিন্দা এক মহিলা মন্তব্য করেছেন, ‘আমারো তাই মনে হচ্ছে, সংখ্যাটা বাড়বে বৈ কমবে না’।
জয়তূর্য চৌধুরী নামে বাংলাদেশের আরও এক নাগরিক মন্তব্য করলেন, ‘আরও বেশি হবে। বেশিরভাগ খবরই তো মেইন স্ট্রিম মিডিয়ায় আসছে না, সামাজিক মাধ্যমেও না। অনেকে ভয়ে আপলোড করছে না। আবার অনেকে ফেসবুক রিপোর্টের কারণে ফেসবুকে দিচ্ছে না। কারণ ফেসবুক রিমুভ করে দেয়। আবার ফেসবুকে পোস্ট দিলে ইউনুস বাহিনী পোস্টদাতার বাড়ি খুঁজে বের করে ক্ষতি করে আসছে। আওয়ামিলীগ ট্যাগ দিয়ে সর্বস্ব নিয়ে, সর্বস্বান্ত করে দিচ্ছে। এত প্রতিবন্ধকতা পার হয়ে যেগুলো ফেসবুকে আসছে, আপনি কেবলমাত্র সেগুলোই দেখতে পাচ্ছেন।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আজকেই দেখলাম রেপ হওয়া ৮ বছর বয়সী শিশুর ছবি সামাজিক মাধ্যম থেকে তুলে নিতে আদালতে রিট করেছে ইউনুস বাহিনী। এবং আজকের মধ্যেই ব্যবস্থা নিতে বলেছে। কারণ ছবিটা ইউনুস বাহিনীর সম্মানহানি করতেছে। ইউনুস বাহিনীর বিরুদ্ধে যায়, এমন কিছুই ওরা রাখতে চাচ্ছে না। খুবই ভয়ংকর কৌশল।’

তসলিমা সকাল থেকে একের পর এক পোস্ট শেয়ার করে চলেছেন সমাজমাধ্যমে। সেখানে একের পর এক পোস্ট শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে একাধিক ধর্ষণের খবর, কখনও একজন চার মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে, তো কখনও ১০ বছরের শিশুকে (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা)। দেখুন-

এদিকে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো-তে সোমবার একটি পোস্টের মধ্যমে দাবি করা হয়েছে যে- ‘ফেব্রুয়ারির ২৮ দিনে ধর্ষণের অভিযোগে দিনে গড়ে ১২টি মামলা হয়েছে। আগের বছরের ফেব্রুয়ারিতে ২৯ দিনে এই সংখ্যা একই ছিল। গত বছর সারা দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ১৭ হাজার ৫৭১টি মামলা হয়েছে। এই আইনে এ বছরের জানুয়ারি মাসে মামলা হয়েছে ১ হাজার ৪৪০টি। গত বছরের জানুয়ারিতে এই সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৪৩।’