বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্রমবর্ধমান খরচ নিয়ে এর আগেও গলা তুলেছেন বহু তারকা। এবার রূপম ইসলাম-পত্নী রূপসা দাশগুপ্তের ফেসবুক পোস্টেও উঠে এল একই ছবি।
রূপসা ফেলবুকে লিখলেন, ‘চিনি স্কুলে ভর্তির পরীক্ষা দিচ্ছে। আবেদনের জন্য বাবা-মা উভয়ের আয়ের শংসাপত্র/আইটি রিটার্ন প্রয়োজন দেখে আমি সম্পূর্ণরূপে আতঙ্কিত। এমনকী, অর্পণ এবং শ্রেয়াকে তাদের আসল আয়ের শংসাপত্রও ইন্টারভিউতে নিয়ে যেতে হয়েছিল এবং একটি স্কুল তাদের বলেছিল- আমরা শ্রেণীকক্ষে এসি ইনস্টল করছি, তাই আপনি নেটে যে ফি কাঠামোটি পাবেন তা পরিবর্তন হবে, তাই দয়া করে এর জন্য প্রস্তুত থাকুন!’
আরও পড়ুন: স্ত্রীর মৃত্যুর ২ বছর পর প্রয়াত শঙ্কর চক্রবর্তী? অভিনেতা নিজেই ফোন ধরে বললেন…
এরপর রূপসা নিজের লেখায় যোগ করেন, ‘যদি এটি ১২ বছর আগে হত, তবে নীতিগতভাবে আমি রূপের জন্য এই স্কুলগুলির কোনওটিতে আবেদন করতাম না।’ প্রসঙ্গত, অর্পণ মুখোপাধ্যায় ফসিলস দলেরই সদস্য।
নিজের এই পোস্টে প্রমাণ হিসেবে দুটি স্কুলের ভর্তি নেওয়ার যে বিজ্ঞাপন বেরিয়েছে, সেটির ছবিও দেন তিনি। যদিও কোথাও স্কুলের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: চোখে অপরাশেনের পর সব ঠিক আছে তো শাহরুখের সঙ্গে? খুললেন না কালো সানগ্লাস
একজন কমেন্টে লিখলেন, ‘খুব বাজে অবস্থা। শিক্ষা ব্যবস্থা দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে।’ দ্বিতীয়জন লিখলেন, ‘এগুলো আইনসম্মত নয়। জানি না স্কুলগুলো কীভাবে প্রকাশ্যে এরকম বিজ্ঞাপন দিতে পারে।’ তৃতীয়জনের মন্তব্য, ‘কম-বেশি হোক, কলকাতার সব সিবিএসসি, আইসিএসসি স্কুলের অবস্থাই এরকম।’
আরও পড়ুন: কথা-উড়ানের বাজিতে কুপোকাত হল শুভ বিবাহ, টিআরপি টপার নিম ফুলের মধু নাকি ফুলকি
চতুর্থজন লিখলেন, ‘শিক্ষাব্যবস্থা তো দিনদিন দুঃস্বপ্ন হয়ে যাচ্ছে। আর কষ্টের কথা হল, আমাদের এখানে টাকা বাড়ানোর কথা ভাবা হলেও, শিক্ষার উপরে জোর দেওয়া হয় না সেভাবে।’
রূপম-রূপসা বিয়ে করেছিলেন ২০০৭-এর ২১ অক্টোবর। এরপর ২০১০ তাঁদের এক পুত্র সন্তান হয়, নাম রাখেন রূপ আরোহণ প্রমিথিউস। ছেলেকে সেভাবে সম্মুখে আনেন না দম্পতি।
কদিন আগে ফেডারেশন আর ডিরেক্টরস গিল্ডের ঝামেলাতেও মুখ খুলেছিলেন রূপসা। জানিয়েছিলেন, ভাগ্যিস গানের জগতে এরকম কিছু নেই (থাকলেও তা টিমটিম করছে)। তাই তো গায়ক-গায়িকারা নিজেদের মতো করে গান গাইতে পারছে। সঙ্গে কাজ বন্ধ না রাখার আর্জিও এসেছিল তাঁর লেখাতে।