রণবীর ও ঋদ্ধিমা, ঋষি ও নীতু কাপুরের এই দুই সন্তান এখন দেশের দুই পৃথক শহরের বাসিন্দা। রণবীর থাকেন মুম্বইতে। আর দিদি ঋদ্ধিমা বিয়ের পর মূলত দিল্লিতেই থাকেন। সম্প্রতি দিদি ঋদ্ধিমার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন রণবীর কাপুর। ঋষি পুত্রের অকপট স্বীকারোক্তি, দিদি নাকি তাঁর ততটাও কাছের নয়, ঠিক যতটা হওয়ার কথা ছিল। তবে কি কাপুর বাড়ির এই ভাইবোনের সম্পর্কে কোনও তিক্ততা রয়েছে? ঠিক কী বলেছেন রণবীর?
রণবীর বলেন, ‘দিদি আমার থেকে দুই বছরের বড়। আমি ওকে ভালবাসি, আমি যখন সপ্তম শ্রেণীতে পড়ি, ঠিক তখন পর্যন্ত আমরা একই ঘরে থাকতাম। তখন আমার বয়স ১৩ এবং আর দিদির ১৫। দিদি আমায় মারত, কারণ ও আমার থেকে বড়। আর দিদি বেশ গোলগাল, সুন্দর ছিল। তবে আমি যখন আমি বড় হলাম, আমিই ওকে মারতাম। এরপর ও পড়াশোনা করতে লন্ডনে চলে গেল। তারপর ও যখন ফিরে এল আমি নিউইয়র্কে চলে গেলাম। যখন আমি পড়াশোনা শেষ করে ফিরলাম তখন ওর বিয়ে হয়ে গেল। আমি ওর সঙ্গে কাটানো সেই সুন্দর বন্ধুত্বের বছরগুলো খুব মিস করি।’
রণবীরের কথায় তিনি একজন 'বিচ্ছিন্ন' ব্যক্তি। রণবীর বলেন বড় হয়ে যাওয়ার পর তিনি দিদি ঋদ্ধিমার সঙ্গে আর খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধন গড়ে তুলতে পারেননি। তবে সম্প্রতি তাঁর জীবনে মেয়ে রাহার আসার পর অনেক পরিবর্তন হয়েছে। ঋদ্ধিমা এখন দিল্লিতে, বিবাহিত, আমার একটা সুন্দর ভাগ্নীও আছে। ওর বয়স এখন ১৩ বছর, নাম সামারা। তবে আমি আমার জামাইবাবুকে খুব ভালোবাসি। ও খুব ভালো, দারুণ মানুষ, ওর নাম ভরত। তাই দিদি ভালো আছে। আর আমি ওর খুশিতেই খুশি। তবে এরপরেও ভাইবোনের সম্পর্ক যতটা কাছের হয়ে থাকে, আমার আর দিদির সম্পর্ক ততটাও কাছের নয়। আমি আসলে একটু উদাসীন, বিচ্ছিন্ন মানুষ।
রণবীর বলেন, ‘তবে এখন আমি অনেকটাই বদলেছি। যেহেতু আমার একটা মেয়ে আছে। তাই আমার সেই বিচ্ছিন্নতা এবং উদাসীনতাকে এখন আমাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে। তাই আমার মনে হচ্ছে আমার সবেমাত্র পুনর্জন্ম হয়েছে। এর আগে আমি যে ৪০ বছর অন্যভাবে বেঁচে ছিলাম।’
রণবীর আরও বলেন, তিনি তাঁর বেড়ে ওঠার সময় বাবা-মায়ের ঝগড়া দেখে বড় হয়েছেন। সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে বাবা-মা’র ঝগড়া শুনে তিনি ভয়ে গুটিয়ে থাকতেন, তখন সেসময় তিনি দিদিকে পাশে পাননি, কারণ, দিদি তখন পড়াশোনার জন্য অনেক দূরে লন্ডনে।