ছোট পর্দায় অপুর সংসার নামক একটি টক শো হতো ২০১৭ সালে। সেই শোতেই একবার অতিথি হয়ে এসেছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি তাঁর সহঅভিনেতাদের নিয়ে কী কী বলেছিলেন সেটাই এদিন ভাইরাল হয়েছে আচমকা।
আরও পড়ুন: 'তোমায় দেখব বলে' অপেরায় মুগ্ধ লগ্নজিতা! ইমনের সঙ্গে নাচের তালে শো জমালেন 'রঙ্গবতী' দেবলীনা
কী ঘটেছে?
ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে অপুর সংসার টক শোয়ের রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর্বটি ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে শাশ্বত তাঁকে জিজ্ঞেস করছেন যে ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে শিয়াল, গাধা এবং মুরগি কে ও কেন? এর জবাবে দিদি নম্বর ওয়ান বলেন, 'শিয়াল তো প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। বুদ্ধিমান যাকে বলে একদম। আমাদের নায়ক। ভীষণ বুদ্ধি রেখে কাজ করেন। জানেন কোনখানে, কীভাবে বুদ্ধি রেখে চলতে হয়। শিয়াল পন্ডিত। আর যিশু সেনগুপ্ত গাধা। তুমিও ওকে চেনো আমিও ওকে চিনি। কারণ ও আজ যে জায়গায় পৌঁছেছে সেটা ও অনেক আগে পৌঁছতে পারত। এত বছর ধরে যদি গাধামি না করত আগেই পৌঁছত।' আর রচনা জানান শাশ্বত নিজে হলেন মুরগি। যদিও সেটা শুনে অভিনেতা বলেন যে তিনি ব্রয়লার মুরগি হতে চান না। সেটা শুনেই অভিনেত্রী বলে ওঠেন, 'শাশ্বত মুরগি। দিশি মুরগি যারা হয় তারা ভীষণ ভাবে জানে যে ব্রয়লার হওয়ার দরকার নেই। দিশি হলে তার ওই স্বাদ কী আছে, এবং তার ওই স্বাদ কত মানুষ উপভোগ করে। সেটা তুমি ভালো করে বোঝো বলে এখনও পশ্চিমবঙ্গে আছে বম্বেতে যাওনি।'
দেবকে প্রশ্ন রচনার
এদিন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় দেবের জন্যও একটি প্রশ্ন করেন। জানতে চান, 'এত সুন্দরী সুন্দরী নায়িকাদের সঙ্গে কাজ করে রুক্মিণীর মধ্যে কী দেখল যা বাকিদের মধ্যে ছিল না?'
আরও পড়ুন: একরত্তি দুয়া নয়, কার জন্য রাতের পর রাত দু'চোখের পাতা এক করতে পারছেন না দীপিকা? কে জাগিয়ে রাখছেন?
ঋতুপর্ণ ঘোষের সঙ্গে কাজ না করা
দহন ছবিটির অফার পেয়েও ফিরিয়ে দেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কেন সেটা করেছিলেন ইবিজেবিভি সেই আফসোস প্রসঙ্গে এদিন তিনি বলেন, 'বহু আফসোস। আজ অবধি সেই আফসোস রয়েই গেছে। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে তো কমিটমেন্টটা খুব জরুরি। ওদের টাইম, শিডিউল এবং ডেট যদি একবার দিয়ে দাও, তারপর সেখান থেকে যদি বেরিয়ে আসো তাহলে সেই যে ওরা তোমায় ব্ল্যাকলিস্টে ফেলে দেবে তারপর আর কোনও কাজ ওখানে করতে পারবে না। আর ঋতু দা আমায় যখন ফোন করেছিলেন সেই সময় আমি একটি ছবির শ্যুটিংয়ে। উনি বলেছিলেন সব ছেড়ে চলে আয়। কিন্তু আমি পারিনি। উনিও বলেছিলেন ওঁর জন্য অপেক্ষা করা সম্ভব না। সব সেট ছিল। দহন ছবির ইন্দ্রাণী বা ঋতুপর্ণার চরিত্রের জন্য ডেকেছিল। ওটা আমার জীবনের সবথেকে কষ্টের মুহূর্ত।'