নির্বাচনে জিতে হুগলির সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর সম্প্রতি দিল্লি গিয়ে শপথগ্রহণ করেছেন। তারপর থেকে বেশিরভাগ সময় হুগলিতেই কাটছে নব-নির্বাচিত সাংসদ রচনা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের। রথের দিনও এবার পুরী না গিয়ে হুগলির গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রায় যোগ দিয়েছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার হুগলির দাদপুরের হারিট হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিলেন নতুন সাংসদ রচনা।
ছাত্রছাত্রীদের জন্য ঠিক কী করেছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়?
জানা যাচ্ছে, হুগলির দাদপুরের হারিট হাইস্কুলে দীর্ঘদিন ধরে ছিল না কোনও উপযুক্ত ল্যাবরেটরি। তাই স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগ চালু করা যাচ্ছিল না। সোমবার সেই স্কুলেই নতুন ল্যাবরেটরি উদ্বোধন করতে পৌঁন হুগলির নব-নির্বাচিত তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন ল্যাবরেটরি পেয়ে খুশি স্কুলের পড়ুয়ারাও।
জানা যাচ্ছে, দাদপুরের হারিট হাইস্কুলে ল্যাবরেটরি না থাকায় অনেকেই ওই স্কুলে ভর্তি হয়ে পড়াশোনা করতে চাইতেন না। কারণ ওই স্কুলে বিজ্ঞান-বিভাগ চালু ছিল না। তবে এবার মুশকিল আসান করলেন সাংসদ রচনা। এদিক ল্যাবরেটরির পাশাপাশি বিজ্ঞান বিভাগও চালু হল আজ সোমবার। উদ্বোধনের সময় রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত। হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধারা, পোলবা দাদপুর ব্লকের বিডিও জগদীশচন্দ্র বারুই। ছিলেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধক্ষ্য, স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা।
স্কুলে ল্যাবরেটরি উদ্বোধন প্রসঙ্গে নতুন সাংসদ রচনা বলেন, ‘সবে তো এসেছি। আমাকেও কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। কাজ করার ইচ্ছা আমার আছে। পড়ুয়াদের উন্নতির জন্য যা যা করার সেটা করব।’
স্থানীয় বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত বলেন, ‘এই স্কুলের ল্যাবরেটরির জন্য বিধায়ক তহবিল থেকে ৩ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। পরের বছর আরও ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।’ স্কুলের প্রধান শিক্ষক রতন কুমার পালের কথায়, ‘আমাদের স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগ না থাকায় অনেকেই স্কুলে ভর্তি হতে চাইত না। যা আমাদের কাছে অত্যন্ত দুঃখের ছিল। এবার স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগ চালু হয়েছে, তাই আমরা সবাই খুশি। ’