Fact check: কনিকার থেকেই কি করোনা সংক্রমিত ব্রিটেনের প্রিন্স চার্লস? ভাইরাল ছবি

করোনা আক্রান্ত বলিউড গায়িকা কনিকা কাপুর আপতত চিকিত্সাধীন লখনউয়ের হাসপাতালে। গত সপ্তাহে লন্ডন ফেরত কনিকার সংক্রমিত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষের শিকার এই বলিউড তারকা। গায়িকার দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণে ক্ষুদ্ধ নেটিজেনরা। এরমাঝেই বুধবার ব্রিটেনের প্রিন্স চার্লসের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে আসে। তারপর থেকেই ফের ট্রোলারদের নিশানায় কনিকা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল প্রিন্স চার্লস ও কনিকার সাক্ষাত্-এর ছবি। সত্যি কী লন্ডন ফেরত করোনা সংক্রমিত কনিকার থেকেই প্রিন্স চার্লসের দেহে গেছে এই ভাইরাস? না এক্কেবারেই নয়। ডেকান ক্রোনিক্যাল জানিয়েছে প্রিন্স চার্লস ও কনিকার এই ছবিটি ২০১৫ সালের। সেইসময় ব্রিটিশ রাজপরিবারের একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন বেবি ডল গায়িকা, তখনই এই সৌজন্য বিনিময়ের ছবিটি তোলা।ভাইরাল এই ছবিতে কমলা লং ড্রেসে প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে গল্প-গুজব করতে দেখা গেল কনিকাকে। পাঁচ বছর আগে অনুদান জোগাড়ে ‘ট্রাভেলস টু মাই এলিফ্যান্টস’-শীর্ষক একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিলেন প্রিন্স চার্লস ও তাঁর পত্নী ‘ডায়েচ অফ কর্নওয়াল’ ক্যামিলা। সেই অনুষ্ঠানে ছবি এটি। তাই কোনওভাবেই কনিকার দ্বারা সংক্রমিত হননি যুবরাজ।কিন্তু তাতে ট্রোলারদের কুছ পরোয়া নেই। ব্রিটিশ রাজপরিবারের সঙ্গে মজবুত সম্পর্ক কনিকার। ২০১৮ সালেও বাকিংহাম প্যালেসে এই রয়্যাল কপলের জন্য পারফম করেন কনিকা। এই অভিজ্ঞতা সম্পর্কে হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে কনিকা জানিয়েছিলেন, ‘প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাত্ করাটা আমার জন্য অত্যন্ত গর্বের। এই নিয়ে তৃতীয়বার ওঁনার সঙ্গে আমি দেখা করলাম, কিন্তু প্রথমবার আমি ওঁনার সামনে পারফর্ম করলাম। আমি উচ্ছ্বসিত যে এই সুযোগটা আমি পেয়েছি’।গত ৯ মার্চ লন্ডন থেকে মুম্বইয়ে ফেরেন কনিকা। তাঁকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হলেও তা অমান্য করে ১১ তারিখ লখনউ পৌঁছান গায়িকা। এরপর ১৩ তারিখ কানপুরে মামার ফ্ল্যানে গৃহপ্রবেশের পার্টিতে যান। এবং ১৪-১৬ তারিখ লখনউয়ের তাজ হোটেলে ছিলেন কনিকা কাপুর। স্বাস্থ্য দফতর কনিকার সংস্পর্শে আসা সকল ব্যক্তিকে চিহ্নিত করেছে। তাদের করোনাভাইরাস রয়েছে কিনা তা বিষয়ক পরীক্ষাও করা হয়েছে। অন্যদিকে বুধবার তিন নম্বর পরীক্ষাতেও কনিকার দেহে Covid-19 ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে।