২০০৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল শাহরুখ খান অভিনীত ‘কাল হো না হো’। দুর্দান্ত স্টোরি লাইন ছিল এই সিনেমার। সিনেমায় শাহরুখ ছাড়া অভিনয় করেছিলেন প্রীতি জিন্টা এবং সইফ আলি খান। গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অভিনয় করেছিলেন সোনালী বেন্দ্রে। শাহরুখের এই সিনেমাটি দেখে এবার কেঁদে ভাসালেন এক থাই আমেরিকান ব্যক্তি।
‘কাল হো না হো’ সিনেমায় একদিকে যেমন ছিল দুরন্ত প্রেম, তেমন অন্যদিকে ছিল কমেডি। সর্বশেষে প্রিয়জনকে হারানোর দুঃখ। সব মিলিয়ে ‘কাল হো না হো’ সিনেমার গল্প মানুষকে এক দিকে যেমন হাসায় তেমন অন্যদিকে কাঁদায়ও বটে। ২০০৩ সালে মুক্তি পাবে এই সিনেমাটি মোটামুটি সকলেরই দেখা, তবে একজন থাই আমেরিকান ব্যক্তি প্রথম বার দেখলেন সিনেমাটি। সিনেমা দেখে তাঁর রিঅ্যাকশন ধরা পড়েছে ক্যামেরায়।
আরও পড়ুন: শাহরুখ খানের সঙ্গে নিজের তুলনা ঊর্বশীর! বললেন, 'ডাকু মহারাজের পর আমি...'
আরও পড়ুন: ক্যানসারের চিকিৎসা সেরে ফিরেছেন বাড়ি, এখন কেমন আছেন আয়ুষ্মান পত্নী?
সোশ্যাল মিডিয়ায় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর রাওয়ান একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন যেটি ঝড়ের গতিতে হয়ে গেছে ভাইরাল। ভিডিয়োয় তিনি তাঁর থাই আমেরিকান স্বামীর রিঅ্যাকশন ক্যামেরাবন্দি করেছেন, যখন তাঁর স্বামী প্রথমবার ‘কাল হো না হো’ সিনেমাটি দেখলেন।
ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, সিনেমাটি যখন প্রথম শুরু হয় তখন ওই আমেরিকান ব্যক্তি খুব একটা আগ্রহ প্রকাশ করছিলেন না। তবে শাহরুখের এন্ট্রি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর আগ্রহ শতগুণ বেড়ে যায়। শাহরুখের ফ্লাটিং তাঁকে মুগ্ধ করে, প্রীতি জিন্টার অন স্ক্রিন মা জেনি হরফে জয়া বচ্চনের রেস্তোরাঁটি সংস্কার করার প্ল্যান দেখেও বেশ উত্তেজিত হয়ে পড়ে ওই ব্যক্তি।
প্রথম প্রথম বেশ হাসিমুখে সিনেমাটি দেখলেও সিনেমার শেষে যখন জানা যায় শাহরুখ ক্যানসার আক্রান্ত এবং তিনি বেশিদিন বাঁচবেন না, সেই সিন দেখে রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই আমেরিকার ব্যক্তি। স্বামীকে এভাবে কাঁদতে দেখে হেসে লুটোপুটি খান কনটেন্ট ক্রিয়েটর।
আরও পড়ুন: ৮৯ বছরেও করলেন কামাল, ছেলের ছবির প্রিমিয়ারে এসে ফাটিয়ে নাচ ধর্মেন্দ্রর
আরও পড়ুন: মিনারেল ওয়াটার দিয়ে চুল ধুতেন লাগান ছবির কলাকুশলীরা! আর কী বিশেষ ব্যবস্থা করেছিলেন আমির?
গোটা ভিডিয়োটি বেশ তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করেছেন নেটিজেনরা। একজন লিখেছেন, ‘ওকে কাঁদতে বারণ করো। এটা শুধুমাত্র একটা সিনেমা।’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘সিনেমার শেষ দৃশ্যে ওকে চোখ বন্ধ করে থাকতে বলো, ও হয়তো ওটা দেখতে পারবে না।’ তৃতীয় একজন লিখেছেন, ‘এই সিনেমাটি দেখে তিনি নিশ্চয়ই শাহরুখের ভক্ত হয়ে গেছেন। এবার পরপর সব সিনেমা দেখে ফেলবেন।’