বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Exclusive Saheb Bhattacharjee: ছোট পর্দায় ফিরে চমকিত সাহেব, কোন প্রসঙ্গে বললেন, 'হেল অ্যান্ড হেভেন ফারাক'?
পরবর্তী খবর
Exclusive Saheb Bhattacharjee: ছোট পর্দায় ফিরে চমকিত সাহেব, কোন প্রসঙ্গে বললেন, 'হেল অ্যান্ড হেভেন ফারাক'?
3 মিনিটে পড়ুন Updated: 12 Dec 2023, 12:26 PM ISTSubhasmita Kanji
Exclusive Saheb Bhattacharjee: স্টার জলসার নতুন মেগা কথার হাত ধরে ছোট পর্দায় ফিরছেন সাহেব ভট্টাচার্য। তার আগে হিন্দুস্তান টাইমসকে কী জানালেন শেফ অগ্নিভ ওরফে সাহেব?
ছোট পর্দায় ফিরে চমকিত সাহেব
সিরিয়াল আনাগোনার যুগে একেবারে অন্যধারার গল্প নিয়ে স্টার জলসার পর্দায় আসছে কথা। এই প্রথমবার এই ধারাবাহিকে জুটি বেঁধেছেন সুস্মিতা দে এবং সাহেব ভট্টাচার্য। শুধু তাই নয়, এই ধারাবাহিকের হাত ধরে দীর্ঘ সময়ের পর ফের ছোট পর্দায় ফিরলেন অভিনেতা। শেফ এবং রেস্তোরাঁর মালিকের চরিত্রে দেখা যেতে চলেছে অভিনেতাকে, যে রান্নাটা দারুণ ভালো পারে আর বাংলাটা একটু কম বোঝে। সঙ্গে পারে কথার সঙ্গে জমিয়ে ঝগড়া করতে! নতুন সফর শুরুর আগে তিনি মুখোমুখি হয়েছিলেন হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার। আলাপচারিতায় জানালেন কোন কোন গোপন কথা?
আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে কথা। তুঁতে ধারাবাহিককে সরিয়ে তার জায়গায় আসছে এই নতুন মেগা। এতদিন সাধারণত সোমবার করেই সমস্ত ধারাবাহিক শুরু হতে দেখা গিয়েছে, সেখানে দাঁড়িয়ে কথা যেন সবার থেকে আলাদা। কারণ এটি শুরু হচ্ছে শুক্রবার থেকে।
সোমবারের বদলে শুক্রবার থেকে পথচলা শুরু করছেন কেন?
সাহেব: এই ধারাবাহিকটি সপ্তাহের সাতদিনই দেখা যাবে। কিন্তু প্রথম তিনদিন খুবই জরুরি। এক তিনদিনে কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে গল্পটা শুরু হচ্ছে, কোন চরিত্রে কারা আছেন সেটার সঙ্গে আলাপ পরিচয় করানো হবে। তাই সবাই যাতে বাড়ি থাকেন, দেখতে পান, কোনও এপিসোড যাতে মিস না করেন তাই শুক্রবারকে বেছে নেওয়া। প্রথম তিনটি এপিসোড একেবারে জমজমাট যাকে বলে, এতটুকু নিঃশ্বাস ফেলার সময় থাকবে না।
এখন তো সিরিয়াল আসছে, তিন চার মাস থাকছে, তারপরই শেষ। সেখানে দাঁড়িয়ে কি একটু ভয় করছে?
সাহেব: না, কোনও ভয় কাজ করছে না। আসলে এটা এখন ইনস্টাগ্রামে রিল দেখার যুগ। মানুষের মনযোগ কমে গেছে। তাই ইন্টারভিউটাও ছোট রাখব নইলে কেউ পড়বে না (হাসি)। তবে এই ধারাবাহিকে প্রচুর কমেডি আছে, আবার ইমোশনাল পার্টও আছে যা গল্পের সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশ্যে আসবে। একটা ফিল গুড ব্যাপার আছে, সারাদিনের ক্লান্তির পর এটা দেখলে মন ভালো হবেই। তাই আশাবাদী আমি।
একটা দীর্ঘ সময় বিরতির পর ফিরে এলেন ছোট পর্দায়। কিন্তু কথার হাত ধরেই কেন?
সাহেব: দেখুন, এখন তো ছোট পর্দা বা বড় পর্দা বলে আলাদা করে তো কিছু হয় না। সব মাধ্যমেই ফ্লুইডিটি বেড়েছে। সবাই সব মাধ্যমে কাজ করছেন। বলিউডের নামী দামী অভিনেতারা পর্যন্ত ওটিটিতে কাজ করছেন। এখানেও তাই। ফলে এই সময়টা অভিনেতাদের জন্য একটা সের সময় যাচ্ছে যে বলা যায়। তাই আমার মনে হয়েছে এটাই সঠিক সময় বড় অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছে যাওয়ার জন্য। তাছাড়া...
কী?
সাহেব: চরিত্রটার সঙ্গে আমি খুব রিলেট করতে পেরেছি। অচেনা নয় বিষয়টা। অগ্নিভ, অর্থাৎ এভির সঙ্গে সাহেবের খুব মিল আছে। আমি নিজেও রান্না করতে পারি, মা বোনকে রান্না করে খাওয়াই। কলকাতার ছেলে, সেই চার্ম আছে। ফলে সাহেবের সঙ্গে এই চরিত্রের সাহেবিয়ানায় মিল আছে। আরও একটি বিষয় হল এই চরিত্রটি চলতি ভাবনাকে ভেঙেছে, রান্নাঘর যে কেবল মেয়েদের নয়, ছেলেরাও রান্না করে স্ত্রী, মা, বোনকে খাওয়াতে পারে সেই বার্তা দেবে এটি। আশা করি এটা সমাজে প্রভাব ফেলবে।
এখানে সবাইকে কি তবে রান্না করে খাওয়ানো হয়েছে?
সাহেব: না, এখনও সুযোগ হয়নি জানেন। কিন্তু আশা করছি শীঘ্রই হবে। আসলে আমাদের সেটটা এমন জায়গায় যেখানে খাবার অর্ডার করলেও আসবে না। তাই কিচেন বানিয়ে এখানে মনপসন্দ খাবার বানাতে হবে! শুধু রুটি ছাড়া। (হাসি)
কেন কেন?
সাহেব: কারণ রুটিটা আমি একদম বেলতে পারি না। রুটি ছাড়া ওটা সমস্ত দেশের ম্যাপে পরিণত হয়ে যায়। (হাসি)
প্রোমোতে তো দেখছি কথার সঙ্গে এভি ঝগড়া করেই যাচ্ছে, আজও লঞ্চের অনুষ্ঠানেও তাই হল। বাস্তবেও কি সাহেব ঝগড়ুটে?
সাহেব: আমি স্করপিও, আর এরা খুব ঝগড়া করে জানেন?
তাহলে কি এর মধ্যেই ঠোকাঠুকি লেগেছে সুস্মিতার সঙ্গে?