বর্তমানে মেগা নিয়ে প্রচন্ড ব্যস্ততায় দিন কাটে দিব্যজ্যোতির। চরিত্রে খাতিরে নানা রূপে, নানা রঙে সেজে উঠতে হয় তাঁকে। তবে রঙের উৎসবের মেজাজটা একটু অন্যরকম। কারণ সেখানে লাইট ক্যামেরা অ্যাকশনে কোনও ফিল্টার নেই, সেটে যাওয়ার তাড়া নেই। আছে একমুঠো রঙিন আবিরে মতো ছুটির সকাল। এই দিনটা ঠিক কীভাবে এবছর কাটাবেন অভিনেতা? খোলামেলা আড্ডায় হিন্দুস্থান টাইমস বাংলাকে সে কথাই জানালেন দিব্যজ্যোতি দত্ত।
অভিনেতা জানান ছুটির মেজাজেই তিনি এ বছরের দোল কাটাবেন। বাড়িতেই থাকবেন তিনি। আসলে যে কোনও উৎসবই দিব্যজ্যোতি পরিবারের সকলের সঙ্গে কাটাতে পছন্দ করেন। অল্প-বিস্তর আবির হয়তো মাখবেন তিনি, কিন্তু তাতে ছেলেবেলার মতো রঙের মজা থাকবে না। নায়কের কথায়, ‘শেষ কয়েক বছরের মতো, এবছরও খুব আলাদা করে এই দিনটা নিয়ে কোনও পরিকল্পনা করিনি। বাড়িতেই সকলের সঙ্গে দোল কাটাবে। আসলে যে কোনও উৎসবে আমি বাড়ির সকলের সঙ্গে থাকতে পছন্দ করি।’
আরও পড়ুন: সন্তানসম্ভবা অহনা, তবুও এই বছরের দোল একটু ফিকে! কেন? HT Bangla-কে জানালেন ‘মিশকা’ 2 মিনিটে পড়ুন
তবে বন্ধুদের সঙ্গে কাটানো ছেলেবেলার সেই দোলকে ভীষণ ভাবে মিস করেন নায়ক। তাঁর কথায়, ‘ছোটবেলার মতো আর দোলটা হয় না। তখন দোল মানে আমাদের কাছে আলাদাই একটা ব্যাপার ছিল। অনেকটা উত্তেজনা থাকত এই দিনটাকে ঘিরে। সেটাকে বড্ড মিস করি।’
পাশাপাশি নায়ক তাঁর ছেলেবেলায় বন্ধুদের সঙ্গে রঙ মাখা নিয়ে বলতে গিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করে বলেন, ‘যেসব বন্ধুদের সঙ্গে তখন দোল খেলতাম তাঁরাও কেউ কাছাকাছি থাকে না। হ্যাঁ, ওঁদের সঙ্গে দেখা হয় ঠিকই। তবেই ছেলেবেলায় একটা আলাদা ব্যাপার ছিল। আমরা পিচকারি নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতাম। একবার তো বাঁদুড়ে রঙের সঙ্গে উজালা মিশিয়েও মাখিয়ে ছিলাম। তখন কে কাকে রঙ দেবে? কাকে কোন রঙটা মাখাবো এই সবই ভাবতাম। সেই দিনগুলো কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছে। আর ওই ভাবে দোলটাকে আমি পাই না। আর পিচকারিও কেনা হয় না, ওভাবে কাউকে রঙও মাখানো হয় না। খুব মনে পড়ে সেই সময়ের কথাগুলো।’ কিন্তু তাঁর বোন সে তো এখনও ছোটই, সে কি দাদাকে রঙ মাখানোর জন্য আবদার করে? প্রশ্নে একটু হেসে অভিনেতা বলেন, ‘না না আসলে ও নিজেই খুব একটা রঙ খেলে না।’
দোল মানে কেবল রঙ খেলা নয়, খাবারটাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। দোলের দিন মঠ, ফুট কড়াই, ঠান্ডাইয়ের পাশাপাশি কব্জি ডুবিয়ে মাংস-ভাতও খান অনেকেই। তবে নায়ক ভীষণ ভাবে ফিটনেস ফ্রিক। একটা দিন কি ডায়েট ভুলে এইসব খাবার চেখে দেখেবেন তিনি? এই প্রশ্নে অভিনেতা জানান, এবার তাঁর বাড়িতে দোলের দিন বিশেষ বিশেষ সব পদ রান্না হবে ঠিকই কিন্তু তাতে আমিষের বালাই থাকবে না। নায়কের কথায়, ‘এবছর আমাদের বাড়িতে সব নিরামিষ পদ রান্না হবে।’
দোলের দিনে নিরামিষ, এটা নিয়ে কি দিব্যজ্যোতি একটু নিরাশ? প্রশ্নে নায়ক জানান, তিনি একেবারেই নিরাশ নন, বরং বেশ খুশি। তাঁর কথায়, ‘আমি আমিষের থেকেও নিরামিষ খেতে বেশি পছন্দ করি। আর মঠ, ফুট কড়াই সবই চেখে দেখা হয়। হ্যাঁ আমি স্বাস্থ্য সচেতন ঠিকই, তবে উৎসব অনুষ্ঠানে অল্প-সল্প খেলে তেমন কোনও সমস্যা হয় না। তবে সব সময় চেষ্টা করি স্বাস্থ্যকর খাবার ও শরীরচর্চার মাধ্যমে নিজেকে সুস্থ রাখাতে। সেখানে মাসেল থাকতেও পারে, আবার নাও পারে। সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।’
তবে নায়ক জানান বর্তমান বিশেষ একটা কারণে তাঁকে অনেকটাই ওজন কমাতে হয়েছে। কিন্তু এর কারণ কী? তাহলে কি তাঁর অনুরাগীরা তাঁর থেকে নতুন কোনও কাজের খবর পেতে চলেছেন। এই বিষয় রহস্য করে দিব্যজ্যোতি বলেন, 'এটা এখন বলা মানা।' তবে তিনি জানান গত এক মাসের মধ্যে প্রায় ৭ কেজি ওজন কমিয়েছেন।