সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার সিনেমা ‘স্পিরিট’ নিয়ে দীপিকা এবং সন্দীপের মধ্যে সমস্যার কথা এখন আর কারও অজানা নয়। অতিরিক্ত পারিশ্রমিকের পাশাপাশি দীপিকার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ করার বিষয় নিয়ে মতভেদ তৈরি হয় পরিচালকের সঙ্গে। তবে ‘স্পিরিট’ থেকে দীপিকা বেরিয়ে গেলেও এই বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে গোটা বলিউডে।
দীপিকার ৮ ঘন্টা শিফটের কাজ নিয়ে একের পর এক অভিনেতা-অভিনেত্রী নিজেদের মন্তব্য প্রকাশ করেছেন। বলা ভালো, এই বিষয়ে সব থেকে বেশি মন্তব্য প্রকাশ করেছেন ছেলেরাই। অজয় দেবগন থেকে সইফ আলি খান, এমনকি পঙ্কজ ত্রিপাঠিও মনে করেন অতিরিক্ত কাজের ক্ষেত্রে পরিচালক বা প্রযোজককে না বলা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: বিনামূল্যে ইউটিউবে দেখা যাবে ‘তারে জামিন পর’, ছবি মুক্তির আগে নতুন পন্থা আমিরের
আরও পড়ুন: সামনেই ‘বাৎসরিক’, তারাপীঠে পুজো দিয়ে পুরনো পথে নতুন যাত্রা শুরু শতাব্দীর
দীপিকার মতোই কিছুদিন আগেই মা হয়েছেন রাধিকা আপ্তে। রাধিকাও মনে করেন ইন্ডাস্ট্রি নতুন মায়েদের জন্য একেবারেই ঠিক জায়গা নয়। ১২ থেকে ১৩ ঘন্টা একজন মায়েদের ক্ষেত্রে পরিশ্রম করা নিতান্তই ভীষণ কষ্টকর একটা ব্যাপার। অনেকেই তাই মা হওয়ার পর কাজ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এবার দীপিকার হয়ে কথা বলতে শোনা গেল অভিনেতা বরুণ সোবতিকে।
অভিনেতাকে কাজের সময়সীমা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করায় তিনি বলেন, ‘আমি এখন সহ প্রযোজনা করি, আমাকেও এখন অতিরিক্ত কাজ করতে হয়। তবে আমি যখন প্রযোজক হব, আমি চাইবো আমার অধীনে যারা কাজ করবেন তারা যেন অতিরিক্ত কাজ না করেন। ৮ ঘন্টার শিফটে কাজ করানোর চেষ্টা করব সকলকে।’
আরও পড়ুন: গাড়ি চালাচ্ছেন, বিজ্ঞাপনে কাজ করছেন, ক্যানসারমুক্ত মিঠু ছোট পর্দায় ফিরবেন কবে?
আরও পড়ুন: অরিন্দমের ছবিতে বড় চমক! অনিল বিশ্বাসের চরিত্রে নাকি অভিনয় করতে চলেছেন কুণাল ঘোষ
ভবিষ্যতের প্রযোজক আরও বলেন, 'সকাল ন'টা থেকে ৫টা পর্যন্ত যদি কাজের সময়সীমা নির্ধারিত থাকে তাহলে সব থেকে ভালো। কাজের সময় কম থাকলে সকলেই বাড়িতে গিয়ে নিজেদের পরিবারকেও সময় দিতে পারবেন। যারা ভালো বেতন পান না তাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রম করা খুবই কষ্টকর। সকলের জীবন এবং নিজেদের জীবন সহজ করার জন্য আমিও চাইব সকলে ৮ ঘন্টার শিফটেই কাজ করুক।'