Bibriti-Tathagata: 'পরিচালকদের সংসার ভেঙে কেরিয়ার গ্রাফ…', তথাগতর সঙ্গে সহবাস টেনে প্রশ্ন, মেজাজ হারালেন বিবৃতি!

টলিউডের হট টপিক বিবৃতি-তথাগতর প্রেম! বিচ্ছেদ হলেও এখনও খাতায় কলমে স্বামী-স্ত্রী দেবলীনা-তথাগত। বিবাহিত পরিচালকের সঙ্গে বিবৃতির সহবাসের চর্চায় তোলপাড় টলিপাড়া। একটা সময় টলিপাড়ার অন্যতম আদর্শ দম্পতি হিসাবে পরিচিত তথাগত-দেবলীনার সাজানো সংসার ভাঙার জন্য আঙুল উঠে বিবৃতির দিকে। এই দায় অবশ্য বরাবর অস্বীকার করেছেন বিবৃতি। আরও পড়ুন-সহবাসের জল্পনা উস্কে তথাগতর জন্মদিনে আদুরে বার্তা বিবৃতির, ‘অতীত’ আঁকড়ে স্ত্রী দেবলীনা!এবার সমাজ মাধ্যম প্রভাবী লাফটার সেন (নিরঞ্জন মণ্ডল)-এর হাতে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে রোস্ট হলেন বিবৃতি। তথাগতকে টেনে একাধিক প্রশ্নের মুখে বিবৃতি, পরিস্থিত এমন পর্যায়ে গেল যে মাঝপথে ইন্টারভিউ ছেড়ে উঠেই যান তথাগতর ‘ভটভটি’ নায়িকা। যদিও সেই ভিডিয়োতে মূলত বিবৃতিকে নিয়ে করা দেবলীনার কিছু ভাইরাল মন্তব্যকেই তুলে ধরেন লাফটার সেন। এখানে অবশ্য মীতা আন্টির চরিত্রে পাওয়া গেল নিরঞ্জনকে।মিতা আন্টি জানতে চায়, ‘কেরিয়ারগ্রাফটা কি পরিচালকদের সংসার ভেঙে উপরের দিকে উঠছে?’ শান্তমনে বিবৃতি জবাব দেন, ‘আমি যদি ডিরেক্টরদের সংসার ভাঙতাম, তাহলে আমি অনেক ছবি করতাম। অনেক বড় বড় ছবি করতাম, সেটা দিয়ে বক্স অফিসের রেকর্ড ভাঙতাম, তাই না।’ এরপর বেফাঁস মন্তব্য করে সঞ্চালক বলেন, ‘হ্যাঁ, তোমার তো সব ফ্লপ ছবি। তুমি খুব ঝগড়ুটে না… টক্সিক। এই টক্সিসিটি নিয়ে তথাগতর সঙ্গে সংসার কী করে কর?’ এই প্রশ্ন শুনেই নড়েচড়ে বসেন বিবৃতি। বিরক্তির সুরে বলে ওঠেন, ‘আমার কোনও সংসার নেই। যে আমি সংসার করব। এগুলো কী প্রশ্ন! আমি এসব প্রশ্ন শুনতে চাই না। আমি কোনও হট টপিক হতে চাই না, আমি শুধু হট হতে চাই..’। শেষে সাক্ষাৎকার ছেড়ে মাঝপথেই উঠে পড়েন তিনি। যদিও ভালোভাবেই বোঝা যাচ্ছে পুরোটাই স্ক্রিপ্টেড। কিন্তু এই সাক্ষাৎকারে দেবলীনা দত্তের কটাক্ষের জবাব স্পষ্টই দিয়েছেন বিবৃতি।কিছুদিন আগেই স্বামীর চর্চিত প্রেমিকাকে টক্সিক বলে কটাক্ষ করেছিলেন দেবলীনা। এক সাক্ষাৎকারে বিবৃতির প্রসঙ্গ উঠলে তিনি বলেন, 'আমরা তো আমাদের শরীর ডি-টক্সিফাই করার চেষ্টা করি। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ তো শরীরটা নানাভাবে ডি-টক্সিফায়িং ড্রিঙ্ক খান, যাতে শরীরটা ঠিক থাকে। কিন্তু হেড কোয়ার্টার তো মন। হাজার ওইসব করে লাভ নেই, মনের ডি-টক্সিফিকেশন করতে না পারলে।সচেতনভাবে যদি আপনার মনে হয়, কোনও ঘটনা, কোনও মানুষ আপনার মনে টক্সিসিটি তৈরি করছে। সেটা মন থেকে ডি-টক্সিফাই করে দিতে হয়। সেটা নিজের স্বার্থে। সেটার জন্য প্র্যাক্টিস লাগে। আমি যে বলছি আমি শ্রেষ্ঠ সময়টা কাটাচ্ছি, কারণ কোনও এমন ঘটনা, কোনও এমন ব্যক্তি যে টক্সিক তার কোনও স্থান আমার মনে নেই। তাঁর অস্তিত্ব আছে বলেই আমি মনে করি না।'