ভারতের প্রথম পপ আইকনদের মধ্যে অন্যতম বাবা সেহগাল। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে ১৯৯২ সালের হিট ছবি 'রোজা'-এর বিখ্যাত গান 'রুক্মণী রুক্মণী' সম্পর্কে একটি মন্তব্য করেছেন তিনি। এই গানটির সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন এ আর রহমান এবং হিন্দিতে গেয়েছেন বাবা সেহগাল এবং শ্বেতা শেট্টি। কিন্তু এখন বাবা বলেছেন যে, এই গান করতে গিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা মোটেও ভালো ছিল না। গানের কথা তাঁর পছন্দ হয়নি। বাবার মতে, তিনি চাপের মুখে এই গানটি গেয়েছিলেন, পাশাপাশি তিনি সন্তুষ্টও ছিলেন না।
আরও পড়ুন: 'আমি তো এক দু’জনকে ধাক্কা দিয়েও ফেলে দিয়েছি…', সেটে কাজল , প্রীতিরা পড়ে গেলেই ছবি হিট, দাবি ফারহার
সিদ্ধার্থ কন্ননকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাবা সেহগাল বলেন, ‘আমি চেন্নাইতে একটি অনুষ্ঠান করছিলাম। সেখানে একজন সহকারী পরিচালক আমার সঙ্গে দেখা করে, গানটির তামিল সংস্করণ শোনান। আমি খুব একটা মনোযোগ না দিয়ে হ্যাঁ বলে দিই। রহমানও সেখানে ছিলেন, তখন তিনি খুব ছোট ছিলেন।’ তিনি আরও বলেন যে পরে রহমান এবং তাঁর টিম হোটেলে বাবার সঙ্গে দেখা করতে এসে গানটি প্রকাশের জন্য সাহায্য চেয়েছিলেন। বাবা তাঁকে তাঁর বন্ধু অতুলের মাধ্যমে ম্যাগনাস সাউন্ডের শশী গোপালের নম্বর দিয়েছিলেন এবং তারপর হিন্দি সংস্করণের কাজ শুরু হয়েছিল। বাবা নিজেই এই গানটি গেয়েছিলেন।
কিন্তু যখন বাবা সেহগাল গানটির হিন্দি লিরিক্স হাতে পান, তখন তাঁর তা পছন্দ হয়নি। তিনি বলেন, 'হিন্দি লিরিক্স দেখে আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমি বলেছিলাম, 'কী খারাপ লিরিক্স, এগুলো কে লিখেছেন?' অন্য ভাষার গান শুনতে ভালো লাগে, কিন্তু যখন আপনি এটা নিজের ভাষায় বোঝেন, তখন এর প্রভাব আলাদা হয়। আমার মনে হয় না এ আর রহমান বা মণি রত্নম এর অর্থ কী তা জানতেন।'
আরও পড়ুন: ৮৯ বছর বয়সে নৌকা চালালেন ধর্মেন্দ্র! ভিডিয়ো দেখেই প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা
বাবা আরও বলেন যে, যখন তিনি পরে জানতে পারেন যে নির্মাতারা এই গানের জন্য ধ্রুপদী গায়কদের চেয়েছিলেন, তখন তিনি ভেবে ছিলেন যে, তাঁকে বাধ্য হয়ে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি এই গানটি নিয়ে মোটেও সন্তুষ্ট ছিলাম না, এটা ছিল রহমানের সঙ্গে আমার প্রথম এবং শেষ কাজ।’ রোজা ছবির 'রুক্মণী রুক্মণী' এই গানটি এখনও একটি আইকনিক গান হিসাবে বিবেচিত হয়।