১৭ই এপ্রিল ভোট জলপাইগুড়িতে। বহিরাগত কেউ ডেরা বাঁধেনি তো জলপাইগুড়িতে? কোচবিহারের শীতলকুচিকাণ্ডের পর আরও সতর্ক পুলিশ, প্রশাসন।কমিশনের নির্দেশে বহিরাগতদের রুখতে একেবারে কোমর বেঁধে নেমেছেন পুলিশ, প্রশানের কর্তারা। মূলত বহিরাগতরা যাতে ভোটের দিন এলাকায় গিয়ে বিশৃঙ্খলা করতে না পারে সেকারণেই এই সিদ্ধান্ত।
জলপাইগুড়ি শহরেই রয়েছে একাধিক অভিজাত হোটেল। সেই হোটেলগুলিতেই বুধবার রাতভর অভিযান চালান পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা। সেই টিমে জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু ও পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব ছিলেন। এরপরই হোটেল, রিসর্টে বহিরাগত কারোর থাকার ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ নেয় জেলা প্রশাসন। জলপাইগুড়ি শহরের পাশাপাশি জেলার অন্যান্য প্রান্তেও চলছে কড়া নজরদারি। চলছে নাকা চেকিং। বিভিন্ন হোটেলে গিয়ে রেজিস্টারগুলি খতিয়ে দেখছেন পুলিশ, প্রশাসনের আধিকারিকরা। হোটেলের আবাসিকদের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করেন পুলিশ, প্রশাসনের আধিকারিকরা।
কে কবে এসেছেন, কবে হোটেল ছেড়ে যাবেন এসব খোঁজ নেন আধিকারিকরা। আবাসিকদের নথিপত্র দেখে কোনও সন্দেহ হলে সংশ্লিষ্ট ঘরও খতিয়ে দেখেন তারা। জেলাশাসক বলেন, কমিশনের নির্দেশ এসেছে। ভোটগ্রহণের দিন পর্যন্ত হোটেল বা রিসর্টগুলিতে থাকার কারণ সংক্রান্ত উপযুক্ত নথিপত্র না দেখাতে পারলে কাউকে থাকতে দেওয়া যাবে না। অবৈধভাবে কেউ থাকছেন কি না তা খতিয়ে দেথার কাজ চলছে। ১৭ই এপ্রিল ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই কাজ চলবে'। এদিকে জলপাইগুড়িতে অনেকেই বেড়াতে যান। ব্যবসায়ীক কাজে বা কর্মসূত্রেও হোটেলে গিয়ে থাকেন। তাদের কাছেও উপযুক্ত নথিপত্র রাখা জরুরী।