তৃতীয়বারের জন্য ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন নিকোলাস মাদুরো। রবিবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়। ভোট গ্রহণ শেষে শুরু হয় গণনা। মধ্যরাতের পর ফল ঘোষণা করে জাতীয় নির্বাচন কাউন্সিল। সেই অনুযায়ী ৫১ শতাংশ ভোট পেয়েছেন মাদুরো এবং বিরোধী প্রার্থী এডমুন্ডো গঞ্জালেজ পেয়েছেন ৪৪ শতাংশ ভোট।
আরও পড়ুন: '… দেশকে বেশি ভালোবাসি', নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ জানালেন বাইডেন
উল্লেখ্য, ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরে বুথ ফেরত সমীক্ষা বিরোধীদের জয়ের দিকেই ইঙ্গিত দিয়েছিল। কিন্তু, তাৎপর্যপূর্ণভাবে ফল ঘোষণা হতেই দেখা যায় পুরো উল্টো ছবি। এই অবস্থায় বিরোধীরা ভোট গণনায় জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছেন। নির্বাচনের এই ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করার কথা জানিয়েছে বিরোধীরা। একইসঙ্গে ভোট গণনায় বিলম্ব করার অভিযোগও তুলেছেন। যা ঘিরে ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে দেশটিতে। অভিযোগ ভোট শেষ হওয়ার ৬ ঘণ্টা পর ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১১ বছর ক্ষমতায় থাকা মাদুরোকে অপসারণ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিল বিরোধীরা। তারা এডমুন্ডো গঞ্জালেজকে সামনে রেখে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন। জানা যায়, ভোটে জয়ের লক্ষ্যে বিরোধীরা সারা দেশে হাজার হাজার পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছিল। তবে অভিযোগ, একাধিক ভোটকেন্দ্র থেকে তাদের পর্যক্ষেকদের বের করে দেওয়া হয়েছিল।
আরও অভিযোগ, নির্বাচন কর্তৃপক্ষ মাদুরোর অনুগতদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। দেশব্যাপী ৩০ হাজারটি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হয়েছে। তবে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে ফল প্রকাশ করা হয়নি। অভিযোগ, শুধুমাত্র ৩০ শতাংশ ব্যালট বাক্সের তথ্য আছে। বাকি তথ্য নেই। এই নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। আন্তর্জাতিক মহলের বক্তব্য, এই নির্বাচন সমগ্র আমেরিকা জুড়ে প্রভাব ফেলবে। উল্লেখ্য, ভেনেজুয়েলায় মাদুরোর প্রতি সেনা বাহিনীর ব্যাপক সমর্থন রয়েছে। তাই ভোটের পরেই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে সেনাবাহিনীর জন্য বার্তা দেন বিরোধী প্রার্থী। তিনি লেখেন, ’ভেনিজুয়েলার মানুষ কথা বলেছে। তারা মাদুরোকে চায় না। এখন সময় এসেছে ইতিহাস তৈরি করার। আপনাদের কাছে এখনই সময় এসেছে।’ প্রসঙ্গত, ৬১ বছর বয়সি মাদুরো আগে বাস চালক ছিলেন। পরবর্তীতে রাজনীতিতে যোগ দিয়ে তিনি বিদেশ মন্ত্রী হন। পরে হন রাষ্ট্রপতি।