লোকসভা নির্বাচন মিটে গিয়েছে গোটা দেশে। তারপর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে নানা বুথফেরত সমীক্ষা। যেখানে বলা হচ্ছে, বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে বেশি আসন পাবে বিজেপি। তবে এই এক্সিট পোল মানেন না তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মানুষের রায় মানেন, এক্সিট পোল নয়। তাই বুথফেরত সমীক্ষা যা দেখিয়েছে তার থেকে বেশি আসন পাবে তৃণমূল কংগ্রেস বলে জানিয়ে দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আবহে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কতগুলি আসন পাবে তৃণমূল কংগ্রেস? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি সংখ্যার কথা বলেননি। তবে তা আজ, রবিবার বলে দিয়েছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য।
এই প্রশ্নের উত্তর আজ, রবিবার এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি এবং অন্যান্য দল বাংলায় কতগুলি আসন পাবে তা তুলে ধরেছেন তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। আর তা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। একদিকে দলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে অপরদিকে রাজ্য–রাজনীতিতে চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ আজ এক্স হ্যান্ডেলে দেবাংশু লিখেছেন, ‘২৫ থেকে ২৭টি আসন তৃণমূল কংগ্রেস পাবে। যার ফলে ভোটের হার দাঁড়াবে ৪৪–৪৬ শতাংশ।’ ২০১৯ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ২২টি আসন জিতে ছিল। সেক্ষেত্রে ৩টি বা ৫টি আসন এবার বাড়বে বলে মনে করছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য।
বিজেপি কতগুলি আসন পাবে? এই প্রশ্নের জবাবে দেবাংশু এক্স হ্যান্ডেলে নিজস্ব সমীক্ষা তুলে ধরেছেন। বিজেপি এবার ১৪ থেকে ১৬টি আসন পাবে বলে দেবাংশু ভট্টাচার্যের দাবি। সেক্ষেত্রে বিজেপি আসন সংখ্যা গতবারের থেকে দুটি অথবা চারটি কমবে। বাড়ার কোনও সম্ভাবনা এখানে দেখানো হয়নি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ১৮টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। দেবাংশুর সমীক্ষা অনুযায়ী তা ধরে রাখতে পারবে না বিজেপি। যদিও বুথফেরত সমীক্ষা তৃণমূল কংগ্রেসকে ছাপিয়ে গিয়ে আসন পাবে বিজেপি বলে বলা হয়েছে। সেটা নস্যাৎ করে দিলেন দেবাংশু।
আরও পড়ুন: গণনাকেন্দ্রে সাদা পোশাকে কারা থাকবে? এক্স হ্যান্ডেলে তথ্য ফাঁস করলেন শুভেন্দু
আর কী জানা যাচ্ছে? এছাড়া দেবাংশু ভট্টাচার্যের সমীক্ষা অনুযায়ী কংগ্রেস একটি আসন পাবে। সেটা বহরমপুর নাকি মালদা তা উল্লেখ করেননি তিনি। যদিও বুথফেরত সমীক্ষায় সংবাদমাধ্যমগুলি দেখিয়েছে অধীররঞ্জন চৌধুরী হেরে যাবেন বহরমপুরে। অধীরকে হারাতেই এবার নামানো হয়েছিল ইউসুফ পাঠানকে। আবার দেবাংশুর সমীক্ষার সঙ্গে মিলছে না শান্তনু সেনের সমীক্ষা। শান্তনু সেনের কথায়, ‘৩০টির বেশি আসন পাবে তৃণমূল কংগ্রেস। বুথফেরত সমীক্ষা মিলবে না।’ শাসকদলের দুই নেতার মধ্যে আসন সংখ্যার ফারাক দেখা দিয়েছে।