সি-ভোটারের সমীক্ষায় লোকসভা ভোটে বাংলায় যে ফলাফলের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা শাসকদলের ঘুম উড়ে যাওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। তবে এই ফলাফলের সঙ্গে বাস্তবের মিল নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে এবার ঠিক কী হতে পারে তা নিয়ে ৪ জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। সি-ভোটারের সমীক্ষা অনুসারে জানা গিয়েছে, ৪২টি আসনের মধ্য়ে তৃণমূল পেতে পারে ১৩-১৭টি আসন, বিজেপি পেতে পারে ২৩-২৭টি আসন। আর বাম-কংগ্রেস জোট পেতে পারে ১-৩টি আসন।
তবে ভোট শতাংশের হিসাবে দেখা যাচ্ছে
বিজেপি পেতে পারে ৪২.৫ শতাংশ
তৃণমূল পেতে পারে ৪১.৫ শতাংশ ভোট
বাম-কংগ্রেস জোট পেতে পারে ১৩.২ শতাংশ ভোট।
ম্যাট্রিজের এক্সিট পোলের হিসাব বলছে বিজেপি পেতে পারে ২১-২৫টি আসন
তৃণমূল পেতে পারে ১৬-২০টি আসন
বাকিরা পেতে পারে০- ১টি আসন
সিএনএক্সে এক্সিট পোলের হিসাব বলছে তৃণমূল পেতে পারে ১৪-১৮টি আসন
বাম কংগ্রেস পেতে পারে ১-৩টি আসন
এদিকে এইসব এক্সিট পোলের হিসাব প্রকাশিত হওয়ার পরেই তৃণমূল শিবিরে কার্যত চরম দুশ্চিন্তা
তবে টিভি ৯এর সমীক্ষা বলছে তৃণমূল পেতে পারে ২৪টি
বিজেপি পেতে পারে ১৭টি
কংগ্রেস পেতে পারে ১টি আসন।
এই সমীক্ষা দেখে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছে ঘাসফুল শিবির। তবে বাস্তবে কোথায় কতটা আসন পাবে সেটা নিয়ে এখনই চূড়ান্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ২০১৯ সালে বিজেপি এই বাংলা থেকে পেয়েছিল ১৮টি আসন। একাধিক এক্সিট পোলের হিসাব বলছে সেই আসন এবার পেরিয়ে যেতে পারে। ২০২৬ সালে বাংলায় বিধানসভা ভোট। তার আগে বিজেপি যদি বাংলায় লোকসভা আসন বাড়িয়ে নিতে পারে তবে নিঃসন্দেহে বিরাট চাপে পড়তে পারে তৃণমূল। এর সঙ্গেই একটা প্রশ্ন উঠছে এবার কি ভোট মেরুকরণের ক্ষেত্রেও বাংলাতেও সফল হতে চলেছে বিজেপি? তবে অনেকের মতে, এবার বাম ভোট কোন দিকে পড়ল সেটা একটা বড় ফ্য়াক্টর। কার্যত বাম ভোট আর মহিলা ভোট কার্যত খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারে।
বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছেন, আমরা তো এর থেকেও বেশি পাব। আর গোটা দেশ জুড়ে আমরা ৪০০ আসনের দিকেই এগোচ্ছি।
এদিকে এক্সিট পোলের হিসাব নিয়ে বাস্তবিকই চিন্তায় পড়ে গিয়েছ তৃণমূল। কারণ এদিনও ভোট দিয়ে বেরিয়ে জয়সূচক চিহ্ন দেখিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।