বিজ্ঞাপন মামলায় সুপ্রিম কোর্টে তুমুল ভর্ৎসিত হল বিজেপি। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে যে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল বিজেপি, তা প্রাথমিকভাবে 'অপমানজনক' বলে মনে করছে শীর্ষ আদালত। তাই কলকাতা হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল, তাতে কোনওরকম হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি জে কে মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের অবসরকালীন বেঞ্চ। আর হাইকোর্ট বলেছিল যে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওরকম কোনও বিজ্ঞাপন প্রকাশ করতে পারবে না বিজেপি। আর সেই রায়ের ক্ষেত্রে শীর্ষ আদালত কোনও হস্তক্ষেপ করার পরই বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। রাজ্যের শাসক দল বলেছে যে জোরদার ‘থাপ্পড়’ খেল বিজেপি। অথচ নরেন্দ্র মোদীর ‘জোটসঙ্গী’ নির্বাচন কমিশন পুরো বিষয়টি নিয়ে চুপ ছিল।
সুপ্রিম কোর্ট কী বলেছে?
বিচারপতি মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি বিশ্বনাথনের অবসরকালীন বেঞ্চ বলেছে, 'আমরা বিজ্ঞাপনগুলি দেখেছি এবং সেই বিজ্ঞাপনের মধ্যে কী আছে, তাও দেখেছি। প্রাথমিকভাবে ওই বিজ্ঞাপনগুলিকে অপমানজনক বলে মনে হয়েছে। আপনি বলতে পারেন যে আপনিই সেরা। কিন্তু আপনি অন্যের বিরুদ্ধে উদ্ভট কিছু বলতে পারেন না।' সেইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে যে হাইকোর্টের রায়ে হস্তক্ষেপ করা হবে না। সেক্ষেত্রে ওরকম 'অপমানজনক' বিজ্ঞাপন প্রকাশ করার ক্ষেত্রে বিজেপির উপর নিষেধাজ্ঞা বজায় থাকছে।
তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া
শীর্ষ আদালতে বিজেপি ভর্ৎসিত হওয়ার পরেই তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে বলেন, 'বিজেপিকে আরও একটি থাপ্পড় মারল সুপ্রিম কোর্ট। তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে বিজেপিকে যে মিথ্যা এবং বিদ্বেষপরায়ণ বিজ্ঞাপন প্রকাশ করতে নিষিদ্ধ করেছিল, সেটার বিরুদ্ধে বিজেপি যে আবেদন করেছিল, তা শুনতে রাজি হয়নি সুপ্রিম কোর্ট। এখানে সবথেকে লজ্জার বিষয়টা কী, জানেন? হাইকোর্ট নিষিদ্ধ করেছিল। সেটাই বজায় রাখল সুপ্রিম কোর্ট। অথচ মোদীর সহযোগী জাতীয় নির্বাচন কমিশন কোনও পদক্ষেপ করেনি।'
অন্যদিকে, রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, 'কয়েকটি ভোটের জন্য বাংলাকে অপমান করতে মরিয়া বাংলা-বিরোধী বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনের ছ'টি দফার মতো একের পর এক ধাক্কা খাচ্ছে বিজেপি। নির্বাচনী দিক থেকে ধাক্কা খাচ্ছে। আইনি ক্ষেত্রেও খাচ্ছে। ৪ জুন আরও একটা ধাক্কা খাবে নারীবিরোধী বিজেপি।'