রবিবার ধরমশালায় ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচে ফিল্ডিং করার সময় রীতিমতো বিরক্ত দেখায় রোহিত শর্মাকে। এতটাই বিরক্ত ছিলেন ভারত অধিনায়ক যে, একবার তো হতাশায় গালাগাল পর্যন্ত দিয়ে বসেন। কিন্তু হিটম্যানের এমন বিরক্তির কারণটা কী ছিল? কাকেই বা মা-তুলে গালাগাল গেন রোহিত?
খেলার মাঠে ক্রিকেটারদের উত্তেজিত হয়ে কটু কথা বলতে শোনা যায় প্রায়শই। তবে রোহিত যে কারণে উত্তেজিত হয়ে পড়েন, তা রীতিমতো আশঙ্কাজন সন্দেহ নেই। আসলে রোহিত শর্মাকে বিরক্ত দেখায় ধরমশালার আউটফিল্ডের উপরে।
বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই আলোচনায় রয়েছে ধরমশালার মাঠ। প্রথমত, ধরমশালার ঘাসের ফাঁকে ক্ষতিকারক ছত্রাকের উপস্থিতি ধরা পড়েছিল বিশ্বকাপের ঠিক আগে। সেই সমস্যা মেটাতে বিশেষ অসুবিধা হয়নি আয়োজকদের। তবে আউটফিল্ডের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে প্রায় প্রতি ম্যাচেই।
এই মাঠে ফিল্ডিং করার সময় ঘাসে জুতে আটকাতে দেখা যায় বহু ক্রিকেটারের, যা চোটের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আফগানিস্তানের মুজিব উর রহমান বড়সড় চোটের হাত থেকে বেঁচে যান। রবিবার একইরকম অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে হয় রোহিত শর্মাকেও।
রবিবার ধরমশালায় প্রথম ইনিংসের দশম ওভারে সিরাজের বলে ডারিল মিচেলের নেওয়া শটে ডাইভ দিয়ে বল ধরার চেষ্টা করেন রোহিত। তবে শরীর ফেলা মাত্রই তিনি বুঝে যান যে, আউটফিল্ডের মান ভালো নয় মোটেও। রোহিতের আঙুলে হালকা চোট লাগে, যার ফলে মুহূর্তের জন্য ভারত অধিনায়ককে মাঠের বাইরেও যেতে হয়।
তবে এত সবের মাঝেও রোহিতের প্রতিক্রিয়া আলাদা করে স্পটলাইট কেড়ে নেয়। রোহিতকে বিরক্তির সঙ্গেই ধরমশালার আউটফিল্ডকে গালাগাল দিতে দেখা যায়, যা ক্যামেরায় স্পষ্ট ধরা পড়ে যায়। সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তে বিশেষ সময়ও লাগেনি।
উল্লেখ্য, ধরমশালায় বিশ্বকাপ ২০২৩-এর ম্যাচে টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় ভারত। নিউজিল্যান্ড নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৭৩ রানে অল-আউট হয়ে যায়। অনবদ্য শতরান করেন ডারিল মিচেল। তিনি ৯টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ১২৭ বলে ১৩০ রান করে মাঠ ছাড়েন। এছাড়া ৬টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৮৭ বলে ৭৫ রান করেন রাচিন রবীন্দ্র। যদিও জীবনদান পান দুই কিউয়ি তারকাই।
ভারতের হয়ে মহম্মদ শামি ১০ ওভার বল করে ৫৪ রানের বিনিময়ে একাই ৫টি উইকেট দখল করেন। এছাড়া ৭৩ রানে ২টি উইকেট নেন কুলদীপ যাদব।