এবারের বিশ্বকাপটা ভারতের হবে কিনা সেটা সময় বলবে। তবে গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে ভারতের ফর্ম দুর্দান্ত। কারণ এই প্রথমবার গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচ জিতে তারা নকআউটে জায়গা করে নিয়েছে। গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে বিপক্ষ দলকে নিয়ে ছেলেখেলা করেছে। শ্রীলঙ্কা হোক কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকা। সব দলকেই চাপে রাখতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু ফাইনালে যেন কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে চলে গেল রোহিত শর্মার দল। এবারের বিশ্বকাপে এই প্রথমবার অলআউট হতে হল মেন ইন ব্লুকে।
গ্রুপ পর্ব হোক কিংবা সেমিফাইনাল, সব ম্যাচেই পুরো ওভার খেলার পাশাপাশি অলআউট না হয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছিল ভারতীয় দলকে। কিন্তু এদিন ফাইনালে তেমনটা একেবারেই হল না। দীর্ঘ ১২ বছর পর বিশ্বকাপ ফাইনালে জায়গা করেছে টিম ইন্ডিয়া। প্রত্যাশা অনেক ছিল। কিন্তু সেই সব প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হলেন ভারতীয় ব্যাটাররা। এদিন প্রথম থেকেই ধাক্কা খেল ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ। মাত্র ৪ রান করে ফিরে যান শুভমন গিল।
সেই ধাক্কা কাটিয়ে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়ায় ভারত। রোহিত এবং বিরাটের ব্যাটে ভর করে বড় রানের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে মেন ইন ব্লু। কিন্তু রোহিত এবং শ্রেয়স ফিরতেই রানের গতি কমে যায়। শুধু তাই নয়, আমদাবাদের পিচে দাপট দেখাতে থাকেন অজি বোলাররা। বিরাট এবং রাহুল অর্ধশতরান করলেও দলকে বড় রানের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি তারা। মাত্র ২৪০ রানে থামতে হয় ভারতকে। এবারের বিশ্বকাপে এই প্রথমবার অলআউট হতে হল টিম ইন্ডিয়াকে।
২০০৩ সালের পর এই প্রথমবার অর্থাৎ ২০ বছর পর বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছে ভারত। কিন্তু প্রথমে ব্যাট করতে নেমে এই হাল ফের ২০০৩ বিশ্বকাপের স্মৃতি ফিরিয়ে দিচ্ছে ভারতীয় দর্শকদের। এটাই সুযোগ ছিল বদলা নেওয়ার। কিন্তু রোহিতদের রান যা বলছে, তাতে ভারতীয় বোলারদের যে বেশ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নিতে হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মহম্মদ শামি আজ কী করে দেখাতে পারেন সেটাই দেখার বিষয়।
তবে ওডিআই বিশ্বকাপে তাদের অলআউট হওয়ার শেষ দশটি উদাহরণের মধ্যে আজ (২০০৩ সালের) তারা সাতটি ম্য়াচে হেরেছে। তার মধ্যে একটি টাই হয়েছে। একমাত্র জয়টি ২০১১ সালে চেন্নাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এসেছিল।