আইপিএলের প্রথম ১৭টি মরশুমে আরসিবিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মোট ৭ জন ক্রিকেটার। তাঁদের সকলে পুরোপুরি ব্যর্থ এমনটা বলা যাবে না। তবে কেউই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে ট্রফি জেতাতে পারেননি। অবশেষে ১৮তম মরশুমে নেতৃত্বের দায়ভার কাঁধে নিয়েই আরসিবিকে প্রথমবার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করান রজত পতিদার।
ক্যাপ্টেন হিসেবে বিরাট কোহলি নিজে আরসিবিকে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করাতে পারেননি। শেষমেশ দীর্ঘদিনের অধরা স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় ক্যাপ্টেন পতিদারকে কুর্নিশ জানাতে ভোলেননি বিরাট। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে ব্রডকাস্টারদের সাক্ষাৎকারে পতিদারের কৃতিত্ব খোলাখুলিভাবে স্বীকার করে নেন কোহলি। পরে সাজঘরে ফিরে ক্য়াপ্টেন পতিদারের হাতে তুলে দেন অমূল্য উপহার। কোহলির কাছে থেকে যে উপহার পেয়ে যারপরনাই অপ্লুত দেখায় আরসিবির ক্যাপ্টেনকে।
ফাইনালের শেষে এবি ডি'ভিলিয়র্সকে নিয়ে আরসিবির সাজঘরে ফেরেন বিরাট কোহলি। ড্রেসিংরুমে বসেছিলেন পতিদার। কোহলি নিজের একটি এমআরএফ স্টিকারের ব্যাট হাতে তুলে নেন। একবার স্টান্স নেওয়ার ঢংয়ে দেখে নেন ব্যাটটি যথাযথ কিনা। তার পরেই তিনি সেটি ছুঁড়ে দেন রজত পতিদারের দিকে। রজত ব্যাটটি লুফে নিয়ে তাতে চুমু দেন। তাঁর চোখেমুখে যে খুশি ঝরে পড়ছিল, তা ধরা পড়ে যায় ক্যামেরায়।
রজত পতিদার ২০২১ সালে ২০ লক্ষ টাকার বেস প্রাইসে আরসিবি শিবিরে যোগ দেন। তবে সেই মরশুমে ব্যাট হাতে বিশেষ কিছু করে দেখাতে পারেননি তিনি। রজত ৪টি ম্যাচে মাঠে নেমে সাকুল্যে ৭১ রান সংগ্রহ করেন। স্বাভাবিকভাবেই আরসিবি তাঁকে স্কোয়াড থেকে ছেড়ে দেয়। ২০২২-এর আইপিএল নিলামে অবিক্রিত থাকেন পতিদার।
শেষে ২০২২ সালেই চোট পাওয়া লুবনিথ সিসোদিয়ার পরিবর্ত হিসেবে আরসিবি ফের দলে নেয় রজতকে। তার পর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। সে বছর প্লে-অফে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স উপহার দেন পতিদার। চোটের জন্য ২০২৩ আইপিএলে মাঠে নামেননি রজত। তবে ২০২৪ সালে আরসিবির স্কোয়াডে ফিরে ফের চমক দেন তিনি।
আরসিবি ২০২৫ আইপিএলের আগে রজত পতিদারকে ক্যাপ্টেন নির্বাচিত করে। দায়িত্ব নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট তথা ফ্র্যাঞ্চাইজিকে হতাশ করেননি পতিদার। তিনি প্রথম সুযোগেই আরসিবিকে আইপিএল চ্যাম্পিয়নের গৌরব এনে দেন।