২০২৩ সালে লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাইল মায়ের্সের যে ক্যাচটি ধরে আইপিএলের সেরা ক্যাচের পুরস্কার জেতেন রশিদ খান, শুক্রবার আমদাবাদে কার্যত তার অ্যাকশন রিপ্লে দেখা যায়। এবার রশিদের হাতে ধরা পড়েন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ট্র্যাভিস হেড। বলা বাহুল্য, এবারও টুর্নামেন্টের সেরা ক্যাচের পুরস্কার জিতে নিতে পারেন রশিদ।
শুক্রবার আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে আইপিএল ২০২৫-এর ৫১তম লিগ ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে গুজরাট টাইটানস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। এই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে দেখা যায় রশিদের দুর্দান্ত ফিল্ডিং। দ্বিতীয় ইনিংসের ৪.৩ ওভারে প্রসিধ কৃষ্ণার ব্যাক-অফ-লেনথ ডেলিভারিতে পিক-আপ শট মারেন ট্র্যাভিস। মিড-উইকেটের উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকাতে চাইছিলেন হেড, তবে বল তাঁর ব্যাটের উপরের কানায় লাগে।
ডিপ স্কোয়ার লেগ অঞ্চলে ফিল্ডিং করছিলেন রশিদ খান। তিনি নিজের ডান দিকে ৩২ মিটার দৌড়ে কিছুটা পিছনে হাঁটেন বলের লাইনে শরীর নিয়ে যাওয়ার জন্য। শেষমেশ স্লাইডিং ডাইভে বল তালুবন্দি করে নেন আফগান তারকা। রশিদের অসাধারণ ক্যাচের জন্যই ট্র্যাভিস হেডকে ব্যক্তিগত ২০ রানের মাথায় আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয়। উল্লেখ্য, ২০২৩ আইপিএলে ঠিক এভাবেই মায়ের্সের ক্যাচ ধরেছিলেন রশিদ।
আরও পড়ুন:- ব্যর্থ অভিষেকের পালটা লড়াই, SRH-কে খাদের কিনারায় ঠেলে প্লে-অফের আরও কাছে গিলরা
রশিদের এমন দুর্দান্ত ফিল্ডিং তাঁর দলকে জয় এনে দিতে বড়সড় ভূমিকা নেয়। কেননা হেড যদি ক্রিজে টিকে থাকতেন, তবে বড় রানের ইনিংস গড়া সত্ত্বেও হারের মুখ দেখতে হতে পারত শুভমন গিলদের।
গুজরাট টাইটানস বনাম সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ম্যাচের ফলাফল
ম্যাচে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে গুজরাট টাইানস। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ২২৪ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। ৩৮ বলে ৭৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে বিতর্কিতভাবে রান-আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন গিল। এমন আগ্রাসী ইনিংসে শুভমন ১০টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন।
সাই সুদর্শন ২৩ বলে ৪৮ রান করে আউট হন। তিনি ৯টি চার মারেন। জোস বাটলার ২টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৩১ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। হায়দরাবাদের হয়ে ৪ ওভারে ৩৫ রান খরচ করে ৩টি উইকেট দখল করেন জয়দেব উনাদকাট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৮৬ রানে আটকে যায়। গুজরাট টাইটানস ম্যাচ জেতে ৩৮ রানের ব্যবধানে। সানরাইজার্সের হয়ে ৪১ বলে ৭৪ রান করেন অভিষেক শর্মা। তিনি ৪টি চার ও ৬টি ছক্কা মারেন। গুজরাটের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন প্রসিধ কৃষ্ণা ও মহম্মদ সিরাজ।