এগিয়ে আসছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তবে এখনও তৈরি হয়ে ওঠেনি পুরো কাজ। এরকম পরিস্থিতিতে শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি আস্বস্ত করেন যে কাজ সময় মতো হয়ে যাবে। তিনি এদিন জানান যে লাহোর, করাচি এবং রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের কাজ ঠিক ভাবেই এগোচ্ছে, যথাসময়ে মধ্যে তা শেষ হয়ে যাবে। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। আয়োজক দেশ পাকিস্তান। তবে ভারত সে দেশে খেলতে যাবে না সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই কারণে টিম ইন্ডিয়ার ম্যাচগুলি অনুষ্ঠিত হবে দুবাইয়ে। প্রতিযোগিতায় বিশ্বের মোট ৮টি দল অংশ নেবে।
টুর্নামেন্ট এগিয়ে এলেও করাচি এবং রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের কাজ চলছে এখনও। সম্প্রতি সামনে আসে সেই ছবি। এরপরেই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ দেখা যায়। তবে PCB চেয়ারম্যান বেশ আত্মবিশ্বাসী যে সফল ভাবে ICC ইভেন্ট আয়োজন করবে তাঁর দেশ। গদ্দাফি স্টেডিয়ামের নতুন রূপ প্রকাশ্যে এনে তিনি বলেন, ‘সীমান্তের ওপারের লোকজন সহ অনেকে বলছে পাকিস্তান থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সরে যাবে, আমরা নাকি তৈরি নয়। কিন্ত আমি আজ এটা বলতে চাই যে আমরা ট্রাই নেশন সিরিজ এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করার জন্য প্রস্তুত।’
আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি গদ্দাফি স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করবেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। করাচি এবং রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের কাজ প্রতিযোগিতার শেষেও চলবে। নাকভি গদ্দাফি স্টেডিয়ামের নতুন রূপ প্রসঙ্গে আরও বলেন, ‘টিম, কর্মকর্তা, ব্রডকাস্টার এবং মিডিয়ার জন্য যেই সুবিধাগুলি ছিল তা আপগ্রেড করা হয়েছে এবং কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।’ তিনি নিশ্চিত করেছেন যে কিছু দলের ম্যাচ থাকায় এবার টিম ফটোশুট করা সম্ভব হবে না। নাকভি বলেন, ‘১৬ তারিখে লাহোরে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে। কিছু দলের ব্যস্ত সফরসূচির কারণে অধিনায়ক সম্মেলন বা ফটোশুট ICC বা আমাদের পক্ষে করা সম্ভব হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ICC-কে আয়োজক দেশকে দেওয়া সাধারণ টিকিট এবং পাস সরবরাহ করা থেকে বিরত থাকতে বলেছি। পরিবর্তে, তারা আমাদের সংশ্লিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করছে।’ নাকভি বলেন, ‘এই স্টেডিয়ামগুলির কাজ অগ্রসর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমালোচনা হয়েছিল, তবে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাই। কিছু ভালো পরামর্শ এবং প্রতিক্রিয়াও ছিল, যা আমাদের লক্ষ্য অর্জনে অনেক সাহায্য করেছে।’