হাসপাতালে ভর্তি হতে হল কর্ণাটকের ক্রিকেটার মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে। জানা গিয়েছে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা থেকে সুরাটের বিমানে উঠেছিলেন মায়াঙ্ক। বিমানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে আগারতলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা পর্যবেক্ষণ করার পর তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তরিত করেছেন।
এই মুহূর্তে রঞ্জি ট্রফিতে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন মায়াঙ্ক। করেছেন শতরানও। তাঁর হঠাৎ অসুস্থ হওয়া স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তিতে পড়ে যায় কর্ণাটক দলের বাকি ক্রিকেটাররা। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হল, কেন আইসিইউতে নিতে হল মায়াঙ্ককে? উৎকন্ঠায় পরিবার থেকে শুরু করে দলের ক্রিকেটাররা।
শুধু মায়াঙ্ক একা অসুস্থ হননি, জানা গিয়েছে কর্ণাটক দলের ম্যানেজার রমেশকেও ভরতি করা হয় সেই হাসপাতালে। স্বাভাবিক ভাবেই গোটা দল জুড়ে একটা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হঠাৎ কেমন এমন হল? প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। সূত্রের খবর, একটি বোতল থেকে জল পান করেছিলেন মায়াঙ্ক, তারপরই বিমানে অসুস্থ বোধ করেন এই ক্রিকেটার। এমনকী বুকে ব্যথা অনুভব করতে থাকেন। একই অবস্থা হয় দলের ম্যানেজারেরও। তড়িঘড়ি সেই বিনামকে জরুরি অবতরণ করানো হয়। বিমানবন্দর থেকে তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় পাশের একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
সেখানে চিকিৎসকরা মায়াঙ্ককে আইসিইউতে স্থানান্তরিত করেন। যদিও হাসপাতাল সূত্রে খবর, আগের চেয়ে অনেকটাই ভালো রয়েছেন মায়াঙ্ক। মনে করা হচ্ছে, তিনি যেই বোতল থেকে জল খেয়েছিলেন, সেখানেই বিষাক্ত কিছু ছিল। সেখান থেকেই এমনটা হয়েছে। যদিও এখন অনেকটাই ভালো আছেন মায়াঙ্ক। টিম ম্যানেজারের অবস্থাও স্থিতিশীল।
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরার বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ খেলতে আগরতলা আসে কর্ণাটক। ত্রিপুরার বিরুদ্ধে ম্যাচ জিতে নেয় মায়াঙ্ক আগারওয়ালের দল। কর্ণাটকের পরবর্তী ম্যাচ রেলওয়েজের বিরুদ্ধে। সেই জন্যই সুরাটে উড়ে যাচ্ছিল তারা। বিমানে উঠেও পড়ে গোটা দল। গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে বিমানও। কিন্তু বিমান ছাড়তেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তারা। এরপরই জরুরী অবতরণ করানো হয় আগরতলায়। তবে স্বস্তির খবর একটাই, আগের চেয়ে অনেকটাই ভালো রয়েছেন মায়াঙ্ক এবং টিম ম্যানেজার। বলা ভালো, বিপদ মুক্ত হয়ে গিয়েছেন তারা।