অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে দাপুটে জয়ের পরেই ঘোর দুশ্চিন্তায় ভারতীয় শিবির। জয়ের উচ্ছ্বাসের মাঝেও কাঁটা হয়ে বিঁধতে শুরু করেছে হার্দিক পান্ডিয়ার চোট পাওয়ার আশঙ্কা। যদিও ফাইনালের আগে হাতে কয়েকদিন সময় রয়েছে। তাই সমস্যা কাটিয়ে ম্যাচ ফিট হয়ে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাবেন টিম ইন্ডিয়ার তারকা অল-রাউন্ডার। তবে হার্দিক হ্যামস্ট্রিং বা গোড়ালিতে গুরুতর চোট পেয়ে বসলে ভারতীয় দল যে ফাইনাল শুরুর আগেই চাপে পড়ে যাবে, সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
চলতি আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে হার্দিক পান্ডিয়া যথার্থ অল-রাউন্ডারের ভূমিকা পালন করছেন এবং ব্যাটে-বলে দুই বিভাগেই সুপারহিট তিনি। ভারতীয় দল চার স্পিনারে দল সাজানোর ফর্মুলায় যেতে পারছে হার্দিকের জন্যই। কেননা নতুন বলে হার্দিক পান্ডিয়া শামির সঙ্গে দায়িত্ব ভাগ করে নিচ্ছেন। হার্দিক না থাকলে ভারতকে বাধ্য হয়েই একজন বিশেষজ্ঞ পেসার খেলাতে হতো।
অন্যদিকে ডেথ ওভারে ব্যাট হাতে ঝড় তুলে পান্ডিয়া কার্যত ফিনিশারের ভূমিকা পালন করছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে পান্ডিয়া ১টি উইকেট তোলার পাশাপাশি ঝড়ের গতিতে ২৮ রান করে ভারতের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তবে বল করার সময় এবং ব্যাট করার সময়, অন্তত দু'বার হার্দিককে তাঁর পা নিয়ে সমস্যায় পড়তে দেখা গিয়েছে। তাঁকে মাঠে রীতিমতো খোঁড়াতেও দেখা যায়। পান্ডিয়া অস্বস্তিতে রয়েছেন বুঝেই লোকেশ রাহুল একবার দু'রান নিতে বারণ করেন হার্দিককে।
কখন খোঁড়াতে দেখা যায় হার্দিককে
দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৭তম ওভারে পান্ডিয়াকে পা নিয়ে সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়তে দেখা যায়। অ্যাডাম জাম্পার বল এক্সট্রা কভারে ঠেলে দিয়েই রান নিয়ে ছোটেন পান্ডিয়া। তিনি এক রান পূর্ণ করে দু'রানের জন্যও ঘুরে দাঁড়ান। ততক্ষণে লোকেশ বুঝে গিয়েছেন হার্দিকের অবস্থা। তিনি পান্ডিয়াকে দু'রান নেওয়া থেকে বিরত করেন। হার্দিক রীতিমতো খোঁড়াতে খোঁড়াতে ক্রিজে ফিরে আসেন।
পায়ের সমস্যা দেখে দেয় বলেই সম্ভবত পান্ডিয়া খুচরো রান নেওয়ার বদলে বড় শট খেলায় মন দেন। ম্যাচের শেষে যদিও পান্ডিয়া সাবলীলভাবেই সতীর্থদের সঙ্গে সেলিব্রেট করেন। তবে ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে খটকা থেকেই যায়। ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় হরভজন সিং, সুরেশ রায়নারাও পান্ডিয়ার চোট পাওয়ার আশঙ্কা নিয়ে আলোচনা করেন।
ভারতীয় দলের তরফে অবশ্য হার্দিকের চোট নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে চোট যদি গুরুতর হয়, সেক্ষেত্রে দু-এক দিনেই সেটা বোঝা যাবে নিশ্চিত।