মার্কাস স্টইনিস এবারে ১৫৬ রান করেছেন চারটি ম্যাচে। তবে গতবার ভারতের মাটিতে হওয়া একদিনের ফরম্যাটের বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল ম্যাচে তাঁর পরিবর্তে মার্নাস ল্যাবুশান-কে সুযোগ দিয়েছিল ম্যানেজমেন্ট। সেই সিদ্ধান্তে তিনি যে বেজায় কষ্ট পেয়েছিলেন, সেকথা সুপার এইট স্টেজ শুরুর আগে স্বীকার করলেন স্টইনিস।
অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের দুই সদস্য ট্রাভিস হেড এবং মার্কাস স্টইনিস। ছবি - এপি
আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপ-এ অস্ট্রেলিয়া দলের হয়ে এবারে দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন অলরাউন্ডার মার্কাস স্টইনিস। ব্যাট হাতে রানের পাশাপাশি বল হাতে ছটি উইকেটও নিয়ে ফেলেছেন তিনি। একাধিক ম্যাচেই দলের পতন রোধ করে দিয়েছেন অজি অলরাউন্ডার। এবারের টি২০ বিশ্বকাপে সুপার এইটে আসার আগে টানা ৪ ম্যাচে জিতেছিল ব্যাগি গ্রিন্সরা, তাঁর অন্যতম কারণই স্টইনিসের ধৈর্যশীল এবং দায়িত্বশীল ইনিংস। ম্যাক্সওয়েলরা যখন পরপর উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে এসেছে, তখনই স্টইনিস ধরে খেলে ম্যাচ বের করে এনেছেন। যদিও এবারের টি২০ বিশ্বকাপে ভালো খেললেও গতবারের ওডিআই বিশ্বকাপের সময় সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল থেকে বাদ পড়ার স্মৃতি এখনও টাটকা স্টইনিসের।
অস্ট্রেলিয়ার তারকা ক্রিকেটার এবারে ১৫৬ রান করে ফেলেছেন চারটি ম্যাচেই। তবে গতবার ভারতের মাটিতে হওয়া একদিনের ফরম্যাটের বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল ম্যাচে তাঁর পরিবর্তে মার্নাস ল্যাবুশানকে সুযোগ দিয়েছিল ম্যানেজমেন্ট। সেই সিদ্ধান্তে তিনি যে বেজায় কষ্ট পেয়েছিলেন, সেকথা সুপার এইট স্টেজ শুরুর আগে স্বীকার করে নিলেন স্টইনিস।
অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডারের কথায়, ‘ওডিআই বিশ্বকাপে আমার সঙ্গে মার্নাসের প্রতিদ্বন্দিতা ছিল দলে ঢোকার জন্য। উইকেট কেমন হতে পারে, সেকথা আঁচ করে মার্নাসকেই সুযোগ দিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। সত্যি কথা যদি বলি, তাহলে বিষয়টি খুব বেদনাদায়ক ছিল আমার কাছে। অস্ট্রেলিয়ার কোচকে আমি বহুদিন ধরে চিনি। তাই ও এই সিদ্ধান্তটা নেওয়ায় আমি মেনে নিয়েছিলাম। আমি এত ভালোভাবে মিশে গেছি ওনার সঙ্গে, এখন আমরা একটা পরিবারের মতো। এত ভালো কোচিং ইউনিট পেয়ে আমরা খুবই খুশি। আমাদের নতুন প্রজন্ম তাঁদের কোচিং পাবে ভেবেই আমরা অনেক স্বস্তি বোধ করি, কারণ এর থেকে ভালো গ্রুপ বোধহয় কোচিংয়ে তেমন পাওয়া যায় না ।
শুক্রবারই এবারের টি২০ বিশ্বকাপে সুপার এইট অভিযান শুরু করবে অস্ট্রেলিয়া। এই রাউন্ডে প্রথম ম্যাচে তাঁদের মুখোমুখি বাংলাদেশ। ২০২১ সালের পর ফের যদি ব্যাগি গ্রিন্সদের এই ফরম্যাটে চ্যাম্পিয়ন হতে হয়, তাহলে মিচেল মার্শের দলের ভালো পারফরমেন্সের অন্যতম কারিগর হিসেবেই বাকি ম্যাচগুলোয় একই ধারা বজায় রাখতে হবে মার্কাস স্টইনিসকে। ম্যাক্সওয়েল, ম্যাথিউ ওয়েডদের অফ ফর্মের দিনে ব্যাট হাতে নির্ভরতা দেওয়ার পাশাপাশি এবারে ওপেনিং বোলার হিসেবেও দেখা গেছে স্টইনিসকে।