দুবাইয়ের পিচ ও পরিস্থিতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা ছিল ভারতের টিম ম্য়ানেজমেন্টের। সেই কারণেই স্কোয়াডে পাঁচজন স্পিনার নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে যায় টিম ইন্ডিয়া। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই ১৫ জনের স্কোয়াডে ৫ জন স্পিনারকে বাড়াবাড়ি বলে মত প্রকাশ করেন। তবে শেষমেশ রোহিতদের সেই পরিকল্পনাই যথার্থ প্রমাণিত হয়।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লিগের প্রথম ২টি ম্যাচে ভারত তিনজন স্পিনার নিয়ে মাঠে নামে। তবে লিগের তৃতীয় তথা শেষ ম্যাচ থেকে গেম প্ল্যান বদল করে ভারতীয় দল। একজন পেসারকে বসিয়ে বাড়তি স্পিনার খেলানোর সিদ্ধান্ত নেন রোহিতরা। অর্থাৎ, চার স্পিনারে দল সাজায় ভারত। শেষমেশ চার স্পিনারের এই ফর্মুলাই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল ও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফাইনালে ধরে রাখে ভারত, এবং তাতেই আসে খেতাব।
একসঙ্গে চারজন স্পিনার খেলানোর পরিকল্পনা পরে প্রশংসিত হয়। রবিবার দুবাইয়ের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ভারত খেতাব জেতার পরে কুলদীপ যাদব বুঝিয়ে দিলেন যে, চার স্পিনার নিয়ে খেলতে নামা সহজ। তবে ক্যাপ্টেনের পক্ষে চার স্পিনারকে হ্যান্ডেল করা মোটেও সহজ কাজ নয়। কুলদীপের কথাতেই প্রকাশ পায় ক্যাপ্টেন হিসেবে রোহিত শর্মা কত দারুণভাবে সামলেছেন সেই চ্যালেঞ্জ।
কুলদীপ বলেন, ‘আমরা চারজন স্পিনার নিয়ে খেলেছি, এটা বলতে সহজ। তবে মাঠে চারজন স্পিনারকে যথাযথভাবে ব্যবহার করা মোটেও সহজ নয়। কোন ব্যাটারের বিরুদ্ধে কাকে বল করাতে হবে, কোন পরিস্থিতিতে কোন স্পিনার সফল হতে পারে, সেই সব যথাযথ উপলব্ধি করতে হয়। এমনটা নয় যে, আগে থেকে কোনও পরিকল্পনা ছিল না। বরং নিউজিল্য়ান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ দেখে রোহিত ভাই দু’তিন দিন আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিল। তবে ম্যাচের পরিস্থিতিতে চার স্পিনারকে ঠিকমতো ম্যানেজ করা নিতান্ত মুশকিল। রোহিত ভাই দুর্দান্তভাবে সেটা ম্যানেজ করেছে।'
ফাইনালে রোহিতের তুরুপের তাস কুলদীপ
কুলদীপ যাদব নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে চ্য়াম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে রোহিতের তুরুপের তাস হয়ে দেখা দেন। তিনি ১০ ওভার বল করে ৪০ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট দখল করেন। রাচিন রবীন্দ্র ও কেন উইলিয়ামসনের মূল্যবান ২টি উইকেট তুলে নেন কুলদীপ। অর্থাৎ, নিউজিল্যান্ডের সেরা দুই ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরান তিনি।
কুলদীপ এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ৫ ম্যাচে বল করে সাকুল্যে ৭টি উইকেট দখল করেন। তাঁর সেরা বোলিং পারফর্ম্যান্স ৪০ রানে ৩ উইকেট।