Australia vs West Indies 2nd Test: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২৭ বছরের অপেক্ষার অবসান, চোট নিয়েও সাত উইকেট জোসেফের, গাব্বাতে ফের হারল অস্ট্রেলিয়া। দিবারাত্রির টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে ৮ রানে হারাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্রিসবেনের গাব্বা স্টেডিয়ামে, দলটি ১৮৭ রানে ৮ উইকেট নিয়েছিল। রাতের খাবার পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার হয়ে স্টিভ স্মিথ ৭১ রান করে অপরাজিত ছিলেন এবং নাথান লিয়ন ৫ রান করে ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে শামার জোসেফ নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। এরপরে রোমাঞ্চকর জায়গায় পৌঁছায় ম্যাচ। শেষ পর্যন্ত জোসেফ সাত উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় নিশ্চিত করেন।
অস্ট্রেলিয়াকে ২১৬ রানের টার্গেট দিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩১১ রান করে এবং অস্ট্রেলিয়া ২৮৯/৯ রান করে। দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৯৩ রান করে অস্ট্রেলিয়াকে ২১৬ রানের টার্গেট দেয়। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শেষ পর্যন্ত ২০৭ রানে শেষ হয়ে যায়।
প্রথম সেশনে ৬ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া
চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে অস্ট্রেলিয়া ৬০/২ স্কোর নিয়ে তাদের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যায়। স্টিভ স্মিথ ও ক্যামেরন গ্রিন দলকে নিয়ে যান ১০০ রান টপকান। দ্বিতীয় ইনিংসে চোট পেয়ে অবসরে যাওয়া শামার জোসেফ আবার বোলিংয়ে ফিরে আসেন। তিনি ৭ ওভারে ৬ উইকেট নেন। এরফলে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রানে নামিয়ে আনেন।
তবে তারপর লড়াই চালান স্টিভ স্মিথ ও নাথান লিয়ন। নাথান ২০ বলে ৯ রান করেন। একদিক থেকে লড়াই চালিয়ে যান স্টিভ স্মিথ। তবে এই লড়াই জেতেন শামার জোসেফ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের ফাস্ট বোলার শামার জোসেফের গতির সামনে থেমে গেল অস্ট্রেলিয়ার লড়াই। ক্রিকেট দলের দ্বিতীয় ইনিংসে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন জোসেফ। গাব্বায় খেলা দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের তৃতীয় দিনে ৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এটাই ছিল তাঁর ক্যারিয়ারের প্রথম ৫ উইকেট। তার তীক্ষ্ণ বোলিংয়ের কারণে ক্যাঙ্গারু দলের জন্য লক্ষ্যে পৌঁছানো কঠিন হয়ে যায়। গাব্বায় জয়ের জন্য লড়াই করছিলেন স্টিভ স্মিথ। তবে অজি ব্যাটারের লড়াই কাজে আসেনি।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক শামারের বোলিং ও পরিসংখ্যান।
কেমন ছিল শামারের বোলিং?
অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে এখন পর্যন্ত ১১.৫ ওভার বল করেছেন শামার এবং ৬৮ রানে ৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
তিনি ক্যামেরন গ্রিন (৪২), ট্র্যাভিস হেড (০), মিচেল মার্শ (১০), অ্যালেক্স ক্যারি (২), মিচেল স্টার্ক (২১), প্যাট কামিন্স (২) এবং জোশ হেজেলউডকে (০) প্যাভিলিয়নের পথ দেখিয়েছিলেন।
ম্যাচে চমৎকার সুইং বোলিং প্রদর্শন করে ক্যাঙ্গারু ব্যাটসম্যানদের সমস্যায় ফেলে দেন শামার। তার পেস ও বাউন্সারদের সামনে ব্যাটসম্যানদের কোনও জবাব ছিল না।