কলকাতার ঐতিহ্য কফি হাউসের নিচে নির্মাণ হচ্ছে বলে অভিযোগ। আর এই কথা কানে যেতেই গর্জে উঠলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ২০২৬ সালে এই কফি হাউস দেড় শো বছরে পা রাখবে। তার আগে শতাব্দীপ্রাচীন এই কলেজ স্ট্রিট কফি হাউসের বিল্ডিংয়ের পিলারে ঘা পড়ল। বিজয়প্রকাশ আগরওয়াল অ্যান্ড সনসের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তাদের নির্দেশেই বেআইনি কাজ চলছিল। যা জানতে পেরে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের স্পষ্ট বার্তা, শহরের হেরিটেজে হাত দেওয়ার অধিকার কারও নেই। মেয়রের এই নির্দেশের পরই দ্রুত পদক্ষেপ করতে চলেছে কলকাতা পুরসভার হেরিটেজ বিভাগ।
এদিকে শতাব্দীপ্রাচীন এই কফি হাউসের একটা অংশ ভেঙে দোকান নির্মাণ করার চেষ্টা করছেন সংশ্লিষ্ট অসাধু ব্যবসায়ী বলে অভিযোগ উঠেছে। হেরিটেজ বিল্ডিংয়ের কোনও পরিবর্তন সম্পূর্ণ নিয়ম বিরুদ্ধ আইন অনুযায়ী। সেখানে ভাঙার অভিযোগ উঠেছে। এই খবর পেয়েই ৪০১ ধারায় কাজ অবিলম্বে বন্ধ করার নোটিশ দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। এই ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এই কলেজ স্ট্রিটের কফি হাউসের একতলার পিলার ভাঙা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, কফি হাউসের একতলার অংশ কিনে নিয়ে সেখানে এক ব্যবসায়ী সম্প্রসারণের কাজ করতে যান। যা সেখানে আসা মানুষজনের নজরে আসে।
আরও পড়ুন: ২৬ হাজার চাকরিই বাতিল! তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কোনও বক্তব্য দিলেন না নেতারা
অন্যদিকে এই মানুষজনই অভিযোগ তুলে প্রথমে সরব হন। আর এই সম্প্রসারণের কাজের জন্য কফি হাউস বিল্ডিংয়ের নিচের অংশের তিনটি পিলার ভাঙাচোরার কাজ করা হয়। এই পিলারের সামনে দোকান হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই কাজ শুরু হতেই প্রথমে কফি হাউসে আসা লোকজন এবং তারপর কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। বিল্ডিং সম্প্রসারণের নামে থাম ভেঙে দেওয়া হয়েছে অভিযোগ তোলেন স্থানীয় ও কফি হাউসপ্রেমীরা। এবার হেরিটেজ বিল্ডিংয়ের যেখানে ভাঙা হয়েছে সেই জায়গা পরিদর্শন করতে যাবেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই কফি হাউসের ওই অংশ দেখতে আসেন পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা। তাঁরা মেয়রকে রিপোর্ট দেন।