ছাত্রীরা প্রণাম করে পরীক্ষা দিতে ঢুকল।
মঙ্গলবারের পর আবার বুধবারও স্কুলে গিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, বুধবার মাধ্যমিকের ইতিহাস পরীক্ষার দিনে ভবানীপুরে ইউনাইটেড মিশনারি গার্লস হাইস্কুলের পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। স্কুলের দুয়ারে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে উচ্ছ্বসিত হতে দেখা যায় শিক্ষিকা–অভিভাবকদেরও। আর ছাত্রীরা প্রিয় নেত্রীকে প্রণাম করে পরীক্ষা দিতে ঢুকল।
আজ, বুধবার নিজের বাসভবন কালীঘাট থেকে নবান্ন যাওয়ার পথে ভবানীপুরের ইউনাইটেড মিশনারি গার্লস হাইস্কুলে গাড়ি থামাতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর গাড়ি থেকে নেমে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে দেখে মুহূর্তের মধ্যে সেখানে অভিভাবক–অভিভাবিকাদের ভিড় জমে যায়। ছুটে আসেন পরীক্ষার্থীরাও। তখন তিনি পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। সবাইকে সাহস দেন মুখ্যমন্ত্রী। পরীক্ষার্থীরাও প্রণাম করেন মুখ্যমন্ত্রীকে। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘পরীক্ষা ভাল হবে। নিশ্চিন্তে পরীক্ষা দাও।’
এদিকে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন সঙ্গীত শিল্পী তথা তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অদিতি মুন্সি। অনেক পড়ুয়াকেই দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে প্রণাম করে ভিতরে ঢুকছেন। পরে ওই স্কুলের পক্ষ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছোট্ট একটি পুষ্পস্তবক দিয়ে সম্মান জ্ঞাপন করা হয়। তারপর স্কুলের গেট দিয়ে ভিতরের লনে ঢুকে সকল পরীক্ষার্থীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে চলে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে একদিন আগেও মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন স্কুলে গিয়ে পরিস্থিতি নিজে খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে বিভিন্ন জায়গায় তাঁর এই ঝটিকা সফর কারও অজানা নয়। পাহাড়ি রাস্তায় কখনও মোমো বানাতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে, কখনও আবার জঙ্গলমহলে চপের দোকানে ঢুকে চপ ভেজে বিক্রিও করেছেন। তিনি যে অন্যান্যদের থেকে আলাদা সেটা বারবার প্রমাণ করেছেন। মঙ্গলবারও মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওইদিন সকালে ভবানীপুর গার্লস হাইস্কুলে মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে যান রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। পরীক্ষার্থীরা মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে প্রণামও করে। আজকের ইতিহাস পরীক্ষা ২৭ ফেব্রুয়ারি হবার কথা ছিল। কিন্তু সাগরদিঘি উপনির্বাচনের জন্য তা পিছিয়ে ১ মার্চ হয়।