বৃহস্পতিবার সূচপুর দিবস ছিল। সেই উপলক্ষে নানুরের বাসাপাড়ায় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। তাতে যোগ দিয়েছিলেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক ও পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন চক্রবর্তী। সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক বলেন, ‘আদালত বিজেপির হয়ে কাজ করছে।’
তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।
বিচার ব্বস্থা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেননাথ চক্রবর্তী। বিচারব্যবস্থাকে আক্রমণ করে তিনি মন্তব্য করেছেন, ‘আদালত বিজেপির হয়ে কাজ করছে।’ তারই মন্তব্যে চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছে। রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে পাশে বসিয়ে এই মন্তব্য করেন তৃণমূল বিধায়ক। সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত মামলায় একের পর এক রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। তারপরে বিধায়কের এমন মন্তব্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এর তীব্র নিন্দা করেছে বিজেপি। পরোক্ষভাবে তৃণমূল বিধায়ক বিচারপতিদেরই আক্রমণ করেছে বলে অভিযোগ বিজেপির।
বৃহস্পতিবার সূচপুর দিবস ছিল। সেই উপলক্ষে নানুরের বাসাপাড়ায় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। তাতে যোগ দিয়েছিলেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক ও পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন চক্রবর্তী। সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক বলেন, ‘আদালত বিজেপির হয়ে কাজ করছে। শুধু ইডি, সিবিআই নয়, আদালত পর্যন্ত বিজেপির কথায় চলছে।’ স্বাভাবিক ভাবেই আইন মন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে আদালতকে নিয়ে এই মন্তব্য করায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর।
এছাড়াও, প্রিজাইডিং অফিসারদেরও বিরুদ্ধে এর আগে অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। এবার শাসকদলের রোষের মুখে পড়েছেন প্রিজাইডিং অফিসাররা। এদিন এ প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ‘প্রিজাইডিং অফিসাররা প্রত্যেকটা বুথে অন্তত ১৫০ থেকে ২৫০টি ব্যালট পেপারে সই করেননি। যাতে বিজেপি এবং সিপিএম জিতে যায় তার জন্য তাঁরা এই কাজ করেছেন। এই চক্রান্ত চলছে সারা বাংলা জুড়ে।’