দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের আগে মুখ্যমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছিলেন, এই প্রকল্প শুধু ধর্মীয় পরিকাঠামো নয়, এর ফলে স্থানীয় মানুষদের কর্মসংস্থান হবে। কিন্তু, বাস্তবে সেই প্রতিশ্রুতি রাখা হয়নি। এমনই অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, মন্দিরের যাবতীয় কাজ, বিভিন্ন পরিষেবার কাজে স্থানীয়দের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। বাইরের শ্রমিকদের নিয়োগ করা হচ্ছে। এই অভিযোগ তুলেই বৃহস্পতিবার তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: দিঘা পুলিশ হলিডে হোম–ইন্সপেকশন বাংলো বুকিং দেদার বাড়ছে, কেন এমন ঘটছে?
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মন্দিরের যাবতীয় কাজ বা দৈনন্দিন রক্ষণাবেক্ষণেও বাইরে থেকে লোক নিয়ে আসা হচ্ছে। এতে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয় বেকার যুবকেরা। তাঁদের দাবি, প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। তারই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দুপুরে মন্দিরের সামনেই জমায়েত হয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। কাজের দাবিতে মন্দিরের সামনে স্লোগান দিতে শুরু করেন কয়েকশো স্থানীয় মানুষ।
বিক্ষোভ ঘিরে মন্দির এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে দিঘা থানার পুলিশ ও জগন্নাথ ধাম ফাঁড়ির আধিকারিকেরা ছুটে আসেন। তবে পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন স্থানীয়রা। মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত বাহিনী। পুলিশ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে। এদিকে, ঘটনার গুরুত্ব বুঝে দ্রুত এলাকায় যান স্থানীয় বিধায়ক এবং মন্দির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য অখিল গিরি। তিনি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করেন বলে সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, মন্দির ট্রাস্টি বোর্ডের অন্যতম সদস্য রাধারমন দাস আগেই জানিয়েছিলেন, দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরি হলে এর আর্থ সামাজিক প্রভাব পড়বে গোটা অঞ্চলে। যাঁরা হোটেল চালান, পরিবহণে যুক্ত, ফুল-বিক্রেতা, পর্যটন সংস্থা সবাই উপকৃত হবেন। কিন্তু, অভিযোগ, মন্দির তৈরি হয়েছে ঠিকই, কিন্তু মন্দিরের কাজের সুবিধা পাচ্ছেন বাইরের মানুষ। কাজ যাচ্ছে বাইরের শ্রমিকদের হাতে। ঠিকাদার সংস্থাগুলি বাইরের শ্রমিকদের কাজ দিচ্ছে। ফলে মন্দির ঘিরে যে কর্মসংস্থানের স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল, সেটা প্রতিশ্রুতিই রয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ।