বইমেলা শুরু হওয়ার পর থেকে এভাবে প্রতারণার অভিযোগ সামনে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে কারও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষাধিক টাকা আবার কারও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েক হাজার টাকা উধাও হয়ে গিয়েছে। কলকাতা এবং বিধাননগর পুলিশের কাছে সব মিলিয়ে এই ধরনের অভিযোগ এসেছে ৪০টি।
বইমেলায় প্রতারণার ফাঁদ। প্রতীকী ছবি
নাম, ফোন নম্বর কুপনে লিখে দিলেই মিলতে পারে উপহার। এমনই লোভনীয় অফার দেখে অনেকেই লিখে দিচ্ছেন নিজের নাম, ফোন নম্বর। আর সেই সমস্ত তথ্য দিতেই ঘটছে বড় বিপদ। এই সমস্ত তথ্য বিক্রি করা হচ্ছে জামতারা গ্যাংয়ের প্রতারকদের কাছে। আর তারপরে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে টাকা। এমনটাই বলছে পুলিশ। এ নিয়ে পুলিশের তরফ থেকে সতর্ক করা হবে। বইমেলা চত্বরে এভাবে নাম, ফোন নম্বর নিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে দ্রুতই প্রচারে নামতে চলেছে পুলিশ।
বইমেলা শুরু হওয়ার পর থেকে এভাবে প্রতারণার অভিযোগ সামনে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে কারও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষাধিক টাকা আবার কারও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েক হাজার টাকা উধাও হয়ে গিয়েছে। কলকাতা এবং বিধাননগর পুলিশের কাছে সব মিলিয়ে এই ধরনের অভিযোগ এসেছে ৪০টি। এই সমস্ত ক্ষেত্রে মূলত অভিযোগ এসেছে, যেমন কাউকে ফোন করে বলা হচ্ছে বইয়ে দারুন অফার রয়েছে। কিউআর কোড স্ক্যান করলেই সেই অফারে বই কেনা যাবে। আবার অনেক ক্ষেত্রেই প্রকাশনা সংস্থাকে তা জানাতে নিষেধ করা হচ্ছে। বইয়ের দাম জেনে নিয়ে কিউ আর কোড স্ক্যান করে ওটিপি পাঠালে ওই ছারে বই মিলবে বলে জানাচ্ছে প্রতারকরা। তবে শুধু বই নয়, আরও বিভিন্ন উপহার দেওয়ার নাম করে এভাবে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বহু মানুষের কাছ থেকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এক দম্পতিকে ফোন করে প্রতারকরা জানায় তারা লটারিতে লক্ষাধিক টাকার পুরস্কার জিতেছেন। নির্দিষ্ট ঠিকানায় তাদের হাতে সেই উপহারের প্যাকেট তুলে দেওয়া হবে। লটারিতে তারা বেড়াতে যাওয়ার প্যাকেজ উপহার পেয়েছেন। সেই সঙ্গে পাঁচতারা হোটেলের বন্দোবস্ত রয়েছে। ওই প্যাকেজটি ৭০,০০০ টাকার। কিন্তু, সংস্থার পাঠানো নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে তারা কাউকে দেখতে পাননি বলে অভিযোগ।