সম্প্রতি ভারত-পাক সংঘাতকে ঘিরে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সীমান্তে। তারপরেই সীমান্তে নজরদারি বেড়েছে। অনুপ্রবেশ রোধে তৎপর হয়েছে বিএসএফ। এবার সুন্দরবনের জলপথে নজরদারি বাড়াতে আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় নামছে বাহিনী। সীমান্ত সুরক্ষায় এবার প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও-র তৈরি উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করতে চলেছে বাহিনী। দীর্ঘ নদীপথ, কাঁটাতারের অভাব এবং প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতাকে মাথায় রেখে এখন থেকে উপগ্রহের ছবি এবং উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন ড্রোনের সাহায্যে নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসএফ।
আরও পড়ুন: সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে উদ্যোগ, জমি হস্তান্তর শেষ করার নির্দেশ নবান্নের
জানা যাচ্ছে, দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও-র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে চালু হচ্ছে নতুন নজরদারি ব্যবস্থা। এরফলে সুন্দরবনের নদী সীমান্তে নজরদারির ফাঁক গলে আর কেউ অনুপ্রবেশ করতে পারবে না। উল্লেখ্য, সুন্দরবনের প্রায় ১১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ জলপথকে চিহ্নিত করা হয়েছে হাই রিস্ক জোন হিসেবে। কাঁটাতার নেই, বন-জঙ্গলে ঘেরা সেই অঞ্চল দিয়ে অতীতে একাধিকবার অনুপ্রবেশ হয়েছে বলে দাবি বাহিনীর। ফলে এবার শুধু নজরদারি নয়, মোবাইল সিগন্যাল ট্র্যাকিংয়ের মতো সেনসিটিভ প্রযুক্তিও কাজে লাগানো হবে।
সূত্রের খবর, সীমান্তের কাছাকাছি কেউ বাংলাদেশি সিম ব্যবহার করে ফোন করলে বা ইন্টারনেট চালালে, সেটাও ধরা পড়বে ডিআরডিও-র এই প্রযুক্তিতে। এই টেকনোলজির মাধ্যমে অনেক আগেই জেনে নেওয়া যাবে কারা জলপথ ধরে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছে। এখনও পর্যন্ত নদী সীমান্ত পাহারা দিতে বিএসএফ-এর হাতে রয়েছে ১৩টি ভাসমান বর্ডার আউট পোস্ট। কিন্তু, এত বড় এলাকায় সেগুলি যে যথেষ্ট নয়, তা স্বীকার করে নিচ্ছেন আধিকারিকরাও। তাই এবার প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে প্রতিটি নদী পথ, শাখা নদী ও গোপন চ্যানেলে নজরদারির ব্যবস্থা পাকা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের এক কর্তা জানিয়েছেন, অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা শুধু স্থলপথেই নয়, এখন জলপথেও সমানভাবে উদ্বেগের কারণ। ডিআরডিওয়ের সাহায্যে সীমান্ত নিরাপত্তা অনেক বেশি শক্তিশালী হবে। তাছাড়া, বাংলাদেশের বর্তমান আভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি এবং সেদেশের মাটিতে ভারতের বিরুদ্ধে জেহাদি কার্যকলাপ যেভাবে বাড়ছে তাতে সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন পড়েছে।