বহরমপুর বাইপাসটি ফোর লেনের হলেও আপাতত এক দিকের লেন খুলে দেওয়া হয়েছে। কারণ ভাগীরথীর উপর দ্বিতীয় সেতুতে ডবল লেনের কাজে এখনও সম্পন্ন হয়নি। ফলে আপাতত একদিকের লেন খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্রুতই এই অংশে কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। তারপরে দুই দিকের লেন খুলে দেওয়া হবে।
বহরমপুর বাইপাস। ছবি ফেসবুক।
বহরমপুর বাইপাস তৈরির জন্য ২০১৫ সালে জমি অধিগ্রহণ করেছিল সরকার। কিন্তু, জমিজটের কারণে দীর্ঘদিন ধরে সেই কাজ আটকে ছিল। জমি অধিগ্রহণের পড়ে বহু কৃষক বাইপাসের জমিতে চাষ করে যাচ্ছিলেন। ফলে বাইপাস তৈরিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেই জট কাটার পরেই শুরু হয় বহরমপুর বাইপাস তৈরির কাজ। অবশেষে সেই কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হল বহরমপুর বাইপাস। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়নি এই বাইপাসের। যে বাইপাসের সাহায্যে বহরমপুর থেকে অনায়াসেই উত্তরবঙ্গে যাতায়াত করা যাবে।
বহরমপুর বাইপাসটি ফোর লেনের হলেও আপাতত একদিকের লেন খুলে দেওয়া হয়েছে। কারণ ভাগীরথীর উপর দ্বিতীয় সেতুতে ডবল লেনের কাজে এখনও সম্পন্ন হয়নি। ফলে আপাতত একদিকের লেন খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্রুতই এই অংশে কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। তারপরে দুই দিকের লেন খুলে দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, এই বাইপাসের ফলে দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগ সহজ হবে। তাছাড়া বহরমপুর শহরে যানজটের সমস্যা থেকে অনেকটা মুক্ত মিলবে।
বহরমপুরে বাইপাস তৈরির পরিকল্পনা দীর্ঘদিনের। পরিকল্পনা অনুযায়ী, বলরামপুর থেকে বাইপাসের রাস্তা শুরু হয়েছে। এটি বহরমপুর শহর থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ২০০৯ সালে এই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।এরপর ২০১৫ সালে জমি অধিগ্রহণ করা হয়। বহরমপুর থানার কলাতলা থেকে ফোর লেনের এই বাইপাসের কাজ শুরু হয়েছিল।