দীপাবলির এক দিন আগে, অর্থাৎ কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে ভূত চতুর্দশী পালিত হয়। এই দিনটি কালী মাকে উৎসর্গ করা হয়, যেখানে রাতে কালী মায়ের বিশেষ পূজা করা হয়। বিশেষ করে বাংলায় এটি মা কালীর জন্মদিন হিসেবে পালিত হয়। ভূত চতুর্দশী কালী চৌদাস রূপ চৌদাস এবং নরক চতুর্দশী হিসাবেও পালিত হয়।পঞ্চাং অনুসারে, কার্তিক কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথি ২৩ অক্টোবর সন্ধ্যা ০৬.০৩ টা থেকে শুরু হচ্ছে। অন্যদিকে চতুর্দশী তিথি শেষ হবে ২৪ অক্টোবর বিকেল ৫টা ২৭ মিনিটে।দীপাবলি উপলক্ষে যেমন চারিদিকে অন্ধকার ঘুঁচে গিয়ে আলোয় ভরে ওঠে তেমনই ভূত চতুর্দশী— এই বিশেষ দিনে আত্মা প্রেতাত্মার বিনাশের শুরু। কথিত রয়েছে, চামুণ্ডারূপী চোদ্দ ভূত দিয়ে অশুভ শক্তিকে ভক্তের বাড়ি থেকে তাড়ানোর জন্যে মা কালী নেমে আসেন মর্ত্যে৷ ভূত চতুর্দশীর দিনে কি কি করা উচিত, কোনটি অনুচিত * কার্তিক দ্বাদশীর পরে এই শুভক্ষণে একটি নতুন ঝাড়ু বা ঝাঁটা কিনে ঘরের ভেতর এবং বাইরের সমস্ত স্থানের নোংরা আবর্জনা ভালো করে পরিষ্কার করে কাঁচা বাড়িতে গোবর জল, পাকা বাড়িতে গঙ্গা জল ছিটাতে ছিটাতে বলবেন ওঁ পবিত্রায় শান্ত্বায় নমঃ, ওঁ পবিত্রায় শান্ত্বায় নমঃ, ওঁ পবিত্রায় শান্ত্বায় নমঃ ওঁ তিনবার উচ্চারণ করতে ভুলবেন না। বিশেষ প্রয়োজনে দশবার বা আঠাশ বার জল ছিটিয়ে উক্ত মন্ত্র উচ্চারণ করতে পারেন।* ঘরের কোন অংশেই যেনো ঝুল ইত্যাদি না থাকে। কারণ ঝুল একটি অশুভ বস্তু।* পুরনো জুতো জামা কাপড় ইত্যাদি ফেলে দিতে ভুলবেন না, কারণ এগুলোও অশুভত্বের লক্ষণ।* ভাত খাবার পর জায়গাটি ভালো করে মুছে দিন পারলে ধুয়ে দিন, কারণ এটিও অশুভত্বের লক্ষণ।* বাড়ির বা ঘরের ঈশান কোণ অর্থাৎ উত্তর-পূর্ব কোন সর্বদাই পবিত্র রাখুন, কারণ ঈশান কোনটি অপবিত্র রাখাও অশুভত্বের লক্ষণ।* বন্ধ ঘড়ি কখনোই বাড়িতে রাখবেন না। যদি ব্যাটারি পাল্টে দিলে ঘড়িটি চলে তাহলে ঘড়িটির ব্যাটারি পাল্টে দিন। কারণ এটিও অশুভত্বের লক্ষণ।* টিপ টিপ করে অর্থাৎ ফোঁটা ফোঁটা জল পরছে এমন কল বাড়িতে রাখবেন না। যত শীঘ্র সম্ভব নতুন কল লাগিয়ে পুরনো কলটি পাল্টে দিন। কারণ এটিও অশুভত্বের লক্ষণ।* ভাঙ্গা বা ফেটে যাওয়া আয়নায় মুখ দেখবেন না কারণ এটিও অশুভত্বের লক্ষণ।বিশেষজ্ঞ: মনোজিৎ দে সরকার যোগাযোগ: 8777679776